হাইকোর্টেও জামিন পেলেন না মির্জা ফখরুল
সিনিয়র রিপোর্টার
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জমিন না মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। সাতদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে শুনানির ধার্য দিনে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিয়ন।
এ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য গত সোমবারের (৪ ডিসেম্বর) কার্যতালিকায় ছিল। পরে বিষয়টি উপস্থাপন করে শুনানির জন্য আর্জি জানালে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেন।
এরও আগে গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব। গত ২৯ অক্টোবর সকালে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ওইদিন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর চালান। বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেন। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দফায় দফায় অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা।
গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এই মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর জামিন চেয়ে গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন মির্জা ফখরুল।
জামিন আবেদনটি গত ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের কার্যতালিকার ৭৯২ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
পরে সগীর হোসেন লিওন জানান, জামিন আবেদনের বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য রাখেন।