বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন

‘গুম-খুন বিএনপি শুরু করেছিল- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সহ সম্পাদক / ৩৬০ Time View
Update : রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিএনপির সময় গুম-খুন শুরু হয়েছিল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আমরা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের আগের দিন থেকে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নি সংযোগের প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১৪ সালে তারা যেভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি শুরু করেছি। অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছি, তারই একই পুনরাবৃত্তি তারা ঘটাল। এগুলো যারা করে, তারা আবার মানবাধিকারের কথা বলে। তারা আবার নানান ধরনের কথা বলে। তাদেরকে রাজনীতি করতে দেওয়া হয় না—এসব কথা বলে। এগুলো শুনলে মনে হয়, আমরা কোন যুগে বসবাস করছি! আমাদের পুলিশ বাহিনী চরম ধৈর্য্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করেছে। তারা অনেক আহত হয়েছে।

‘আজকে প্রশ্ন আসে খুন-গুম। খুন-গুমের যে দৃশ্যগুলো আপনারা দেখেছেন, এগুলো সেই আমলে হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যদি হিসাব করেন, খুন-গুমের সংখ্যা যদি যোগ করেন. তাহলে আপনারা নিজেরাই আঁতকে উঠবেন,’ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাগুলো অনেকেই হয়তো ভুলে গেছেন। আমি তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আমাদের খুন-গুম শুরু করেছিলেন তারা। আমরা এগুলো বন্ধ করে আজকে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেছি।’

২৮ তারিখের ঘটনা ঢাকায় ঘটেছে কিন্তু গ্রামে বিএনপির যারা আছেন, তালিকা ধরে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন দেশে বিএনপি করা বা সমর্থন করা কি অপরাধ—এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে এসেছে। এমন কোনো থানা নেই, যে থানার বিএনপি নেতাকর্মীরা এখানে আসেনি। প্রথমেই তারা…আমাদের ডিএমপি আধুনিক কিছু ক্যামেরা বসিয়েছিল। এই ক্যামেরাগুলো বিনষ্ট করে দিয়েছিল। তারা মনে করেছিল, ক্যামেরা বিনষ্ট করলেই বোধ হয় আমরা কিছু পাব না।

‘এটা ঘটাতে পারে আমরা জানতাম, সে জন্যই আমরা ড্রোনের সাহায্য নিয়েছিলাম। কতজন লোক উপস্থিত ছিল, হেড কাউন্ট কিন্তু আমাদের কাছে রয়েছে। কোথায় ঘটনাগুলো হয়েছে, আমাদের ছবিগুলো এত সুন্দর এসেছে! আমরা হাই পাওয়ার ক্যামেরাগুলো আমরা ব্যবহার করেছিলাম। কারা কারা পিটিয়েছে, কারা কোন জায়গা থেকে এসেছে, সবগুলো আমাদের ক্যামেরায় রয়ে গেছে,’ বলেন আসাদুজ্জামান খান।

তিনি আরও বলেন, ‘ক্যামেরা সার্চ করে যারা যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল চিহ্নিত করে আমরা সে যেখানেই থাকুক, যদি সাতক্ষীরা থেকে এসে থাকে; আমরা সাতক্ষীরা তাদের চেহারা পাঠিয়ে দিয়েছি, তারা চিহ্নিত করে শনাক্ত করছে। এখানে অন্যায়ভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যারা সম্পৃক্ত হয়েছিলেন, তাদের ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে দুই লাখ লোকের সমাবেশ ঘটিয়েছিল, হেড কাউন্ট করে আমরা যেটা দেখেছি। পাশাপাশি আরও দুএকটা ছোট ছোট দল অনুষ্ঠান করেছিল। ড্রোনের মাধ্যমে চেহারাগুলো আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর