সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা
আগামী ২০ ডিসেম্বর সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার ১০ ডিসেম্বর বিকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সিলেটে হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করে একটি মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। এই মহাসমাবেশের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিএনপি এমন রেকর্ড করেছে যার নজির সমসাময়িক বিশ্বে নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিএনপি যে ঘৃণ্য, জঘন্য, নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করেছে তা বিশ্বের কোথাও নেই। বিশ্বের সব রেকর্ড তারা ভঙ্গ করেছে। এ কথা আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই। তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমান, বেগম জিয়ার আমলে দেশে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে তাতে ওদের লজ্জাও করে না। আজকেও তারা বলে আওয়ামী লীগ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনে প্রথম। অথচ ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকতে তারা আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে স্বাধীনতার পর ১৫ আগস্টের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। এই নৃশংসতা সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এই হত্যার বিচার পর্যন্ত হয়নি। জেলের ভেতরে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেষ করে দিতে এসব হত্যাকান্ড ঘটনা হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের পর খালেদা জিয়াও গুম খুনের রাজনীতি করেন। দেশে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘৃণ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে রেকর্ড ভেঙেছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলনে পাত্তা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। কারণ গতানুগতিক কর্মসূচি অবরোধ-হরতাল তাদের ব্যর্থ আন্দোলনের ফলশ্রুতি। নেতাকর্মীদের কথা শুনলে মনে হয় বিশ্ব মোড়লের সোল এজেন্ট।
শরিক দলের সঙ্গে আসন বণ্টনের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৭ তারিখ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় আছে। সময় যখন আছে তখন অস্থির হওয়ার দরকার নেই। এই সময়ের ভেতরে যোজন-বিয়োজন কিংবা প্রয়োজনে শেয়ারিং করবো।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়ম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।