খাগড়াছড়িতে গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ কর্মী নিহত
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ৪ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আরও ৩ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে পানছড়ির দুর্গম এলাকা লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিউল আজম বলেন, গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনা শুনেছি। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারিনি।
নিহতরা হলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পিসিপির সাবেক কেন্দ্ৰীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অংগ্য মারমা।
নিহতদের মধ্যে বিপুল চাকমা চেঙ্গী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়ার সুনয়ন চাকমার ছেলে। সুনীল ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়ার সুখেন্দু বিকাশ ত্রিপুরা ছেলে, লিটন চাকমা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়ার চিন্তা মুনি চাকমা ছেলে এবং রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা পানছড়ির উপল্টাছড়ি ইনিয়নের পদ্মিনী পাড়ার বাসিন্দা জনাধন ত্রিপুরার ছেলে।
এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা বলেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে, তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।