মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এসেছে বাংলাদেশ ইস্যু। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কিনা এমন বিষয় উঠে আসে প্রেস ব্রিফিংয়ে। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিফিংয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো খবর আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আজ নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিচ্ছি না আমি। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে আমরা সেই বিষয়ে কোনো পর্যালোচনা করি না। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস।’
এর আগে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ৩০ ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে গত ১১ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিতে এই পদক্ষেপ নেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন।
এই পদক্ষেপ ছাড়াও এদিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ক্ষমতা সম্প্রসারিত করে একটি ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন জো বাইডেন। এর ফলে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে পারে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান আইনের আওতায় আমি ৩০ জনের বেশি ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করছি। এদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। এর ফলে এসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ফায়দার জন্য সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বিশ্বজুড়ে এমন ব্যক্তিদের নিশানা করে আজকের (সোমবার) পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জবাবদিহি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। দুর্নীতি দমন এবং জবাবদিহি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে।