সেনা মোতায়েনে রাষ্ট্রপতির ‘নীতিগত সম্মতি’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ‘নীতিগত সম্মতি’ দিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল রোববার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করে ভোটের মাঠে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অনুরোধ জানান। বৈঠকে রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে সম্মতি দেন বলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম পরে সাংবাদিকদের জানান।
ভোটের মাঠে সেনা মোতায়েন নিয়ে রোববার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের বৈঠক শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিবকে সঙ্গে নিয়ে বেলা পৌনে ১১টায় বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন সিইসি। বেলা ১১টায় শুরু হয় বৈঠক। আধা ঘণ্টা পর বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মো. জাহাংগীর।
তিনি বলেন, সংবিধানের ১২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কমিশন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের’ আওতায় বেসমারিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সামরিক বাহিনী নিযুক্ত করার জন্য অনুরোধ যাচনা করেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিষয়টি শ্রবণ করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আলাপ করে অতি শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। তিনি নীতিগতভাবে সামরিক বাহিনী প্রদানে সম্মত হয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি এখন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মতি দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন। এরপর পরিপত্র জারি করে কর্মপরিধি নির্ধারণ এবং কবে কখন মোতায়েন হবে, তা জানানো হবে। এটা মূলত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আমরা আলোচনা করে পৃথক পত্র প্রেরণ করব। তার আলোকে সেখানে সময়, কখন কীভাবে তা নির্ধারণ হবে। সেটা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে পত্রালাপের মাধ্যমে চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন।
৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের ইচ্ছার কথা এর আগে জানিয়েছিল ইসি। গত ১১ ডিসেম্বর সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।