গাজায় শিশুসহ নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ২০ হাজার
গাজায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে একের পর এক বেড়ে চলেছে মানবিক সংকট। চলমান এ হামলায় (৭ অক্টোবর থেকে) এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গাজায় হামাসের অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে আগ্রাসী এসব হামলায় শিশু ও নারীর সংখ্যাই ১৪ হাজারের বেশি। এ ছাড়াও অন্তত ৬ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
সাম্প্রতিক তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য, যা নিশ্চিত করেছে গাজার জনসংযোগ অফিস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান ইসরায়েলি হামলায় গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে—অবরুদ্ধ গাজায় সব মিলিয়ে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও নিখোঁজ হয়েছে। এ ছাড়া গাজার বিভিন্ন হাসপাতালের হিসাব অনুসারে ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৮ হাজার শিশু ও ৬ হাজার ২০০ নারী।
এ নিহতদের তালিকায় রয়েছেন ডাক্তার-নার্সসহ অন্তত ৩১০ জন চিকিৎসাকর্মী, ৩৫ জন সিভিল ডিফেন্সের সদস্য এবং ৯৭ জন সাংবাদিক।
গাজায় বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হচ্ছে একের পর এক স্থাপনা। বাদ পড়ছে না ধর্মীয় উপাসনালয়। এখন পর্যন্ত ১১৪টি মসজিদ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অন্তত ২০০ মসজিদ। এ ছাড়া গাজা উপত্যকাজুড়ে ৩ লাখ ৮ হাজার ইউনিট বাড়িঘর-অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় ১২৬টি সরকারি ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ২৮৩টি ভবন। পাশাপাশি এই যুদ্ধের কারণে, ৯০টিরও বেশি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। সেখানে গাজায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো এবং বন্দি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হবে। গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে কারা নতুন যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি পাবে এবং বিনিময়ে ইসরায়েল কোনো বন্দিদের মুক্তি দিতে পারে বলেও জানা গেছে।
এদিকে জিম্মিদের মধ্যে সকল নারী ও অসুস্থ পুরুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে জোর দিয়েছে ইসরায়েল। সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানিয়েছে, গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ফিলিস্তিনিরা মুক্তি পাওয়ার তালিকায় থাকতে পারে।