বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের উন্নতি, বাসায় ফিরতে সময় লাগবে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক

সিনিয়র রিপোর্টার / ১৮৭ Time View
Update : শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

সাড়ে চার মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তাঁকে এখনো চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখতে হচ্ছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সে জন্য বিএনপি নেত্রীর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

গত ৯ আগস্ট থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জাহিদ হোসেন বলেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করার পর নানা জটিলতা দেখা দিয়েছিল। এখন জটিলতাগুলো কমে এসেছে এবং খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।

যদিও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে এবং তিনি ভালো আছেন; এরপরও এখনো তাঁকে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সে জন্য খালেদা জিয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে আরও সময় লাগবে।

খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

অস্ত্রোপচারের পরদিনই বিদেশি চিকিৎসকেরা ফেরত গেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ঢাকায় খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

জাহিদ হোসেন জানান, এখন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের জটিলতাগুলো কমে এলেও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হচ্ছে, বাসায় সার্বক্ষণিক এ ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। সে কারণে তাঁকে হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে। তাঁর স্বাস্থ্যের আরও কিছুটা উন্নতি হলে তাঁকে বাসায় নেওয়া না–নেওয়ার প্রশ্নে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকেরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তাঁর পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি

এমন অবস্থাতেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি নেত্রীর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত ২৭ অক্টোবর।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। সেই থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর