বিএনপি-জামায়াতের হাতে দেশ নিরাপদ নয়- শেখ হাসিনা
উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসী বিএনপি আর যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। অতীতের মতো নির্বাচন ঠেকানোর নামে আবারও অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত। বিএনপি জামায়াতের হাত থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে পারলে দেশের উন্নতি হবে। তারেক রহমানের হুমুকে যারা অগ্নি সন্ত্রাস করছে পাপী ভাগীদার তাদেরও হতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতন ৭১ সালের পাক-হানাদারদের নির্যাতনের সঙ্গে তুলার যোগ্য।দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে; সে রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না।
তিনি বলেন, প্রতিটি জায়গায় আমরা উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। আজ বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। তারা ভোট ঠেকানোর নামে ২০১৩-১৪ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, সেই ভয়ংকর রূপ নিয়ে আবার মাঠে নেমেছে।
শনিবার ২৩ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ছয় জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, বরগুনা ও রাঙ্গামাটি জেলার জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে রেলে আগুন দিলো, ফিশপ্লেট খুলে ফেলল, রেলের বগি পড়ে সেখানে একজন মারা গেল। বাসে আগুন দিচ্ছে, ঘুমিয়ে থাকা হেলপার মারা গেল। ঠিক এভাবে আবার তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষের ওপর বিএনপি-জামায়াত যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ’৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করা যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, রেলে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা, একটা মা তার শিশুকে কোলে নিয়ে বসে আছে, সেখানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে কঙ্কাল করেছে, কোনো মানুষের ভেতরে মনুষ্যত্ব থাকলে এ ঘটনা ঘটাতে পারে না।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতা কে? সেটাই প্রশ্ন, দুইটাই তো সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে আজ খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারপরও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে, তার বোন-ভাই যখন আমাদের অনুরোধ করেছে, আমরা তার সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি। তারেক জিয়া আমাকে গ্রেনেড হামলা করে মারতে চেয়েছিল, বোমা মেরে মারতে চেয়েছিল, গুলি করেছে, তারপরও তার জন্য আমরা এটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক এলে মুচলেকা দিয়ে আর কখনো রাজনীতি করবে না বলে নাকে খত দিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয়। বিদেশ থেকেও হুকুম করছে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারার। বিএনপির যারা নেতাকর্মী, আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়, পাপের ভাগীদার আপনারাই হবেন, তারেক জিয়া হবে না। ও তো ওখানে জুয়া খেলে ভালো আছে আর হুকুম দিচ্ছে। আপনারা নাচেন, কার জন্য নাচেন? জীবনে কোনোদিন সে তো দেশে আসে নাই, মা মরে মরে, তাও তো দেখতে আসে না। এত সাহস থাকলে একবার দেশে এসে দেখুক, এ দেশের মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেবে।