সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন

বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার নেই: শেখ হাসিনা

সিনিয়র রিপোর্টার / ২৩৪ Time View
Update : শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, আর ওদের রাজনীতি মানুষ হত্যায়। তাদের কী মানুষ চায় বলেন? তাদের মানুষ চায় না।’

 

শুক্রবার ২৯ ডিসেম্বর বিকালে বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী বরিশাল সার্কিট হাউজে পৌঁছান। এরপর বেলা তিনটার দিকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভা মঞ্চে আসেন। এ সময় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে স্লোগানে স্লোগানে স্বাগত জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতি লাখো জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন,‘আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করে বিএনপি-জামায়াত করে অগ্নি সংযোগ। রেললাইনে বগি ফেলে দিয়ে মানুষ মারার ফাঁদ পাতে। মা আর সন্তানকে এক সাথে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। এই দৃশ্য বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। গাড়িতে আগুন। ২০০১ সালের শুরু করে ছিল এরপর ২০১৩, ১৪ সালে করে এখন আবার শুরু করেছে। আমি ধিক্কার জানাই ওই বিএনপি-জামায়াতকে। বিএনপি হচ্ছে সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের রাজনীতি করার কোনো অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ এরা মানুষ পোড়ায় মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে ওদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোতে। তাদের এদেশের মানুষ চায় না। তাদের দোসর কে? যারা একাত্তরের গণহত্যা করেছে, লুট পাট করেছে, নারী ধর্ষণ করেছে, মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিয়েছে। যাদের বিচার করেছি, সাজা দিয়েছি সেই যুদ্ধাপরাধীরা হচ্ছে তাদের দোসর। একদল হচ্ছে খুনি সন্ত্রাসী দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, মানিলন্ডারিং এবং যত প্রকার অপকর্ম এতিমের অর্থ আত্মসাতকারী সেই দল। তার সাথে জুটছে যুদ্ধাপরাধী দল।’

 

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন চায় না। নির্বাচন বানচাল করতে চায়। আপনাদের কাছে আহ্বান আপনারা ৭ তারিখ সকাল সকাল সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন। মার্কাটা কি? নৌকা মার্কা। এই নৌকা হচ্ছে নূহ (রা:) নবীর নৌকা। মহাপ্লাবন থেকে মানুষকে রক্ষা করেছিল। এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকায় ভোট দিয়ে আজকে দারিদ্র বিমোচন হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। নৌকায় ভোট দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমি বরিশালে উপস্থিত হয়েছি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, সেই লক্ষে এখানে উপস্থিত হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি যখন দায়িত্ব নেন তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ ডলার। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে তা ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। তিনি অসহায়দের জন্য অকাতরে সব বিলিয়ে দেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা নয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছিল। এরপর অবৈধভাবে জিয়া, এরশাদ ক্ষমতায় আসে। তারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ উন্নয়নে দেশের সোনালী সময় ছিল। দুর্ভাগ্য চক্রান্ত করে ২০০১ সালে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। বরিশালে নেতাকর্মীদের যে নির্যাতন করা হয়েছিল তা অবর্ননীয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ ছিল মানুষের সবচেয়ে বড় অন্ধকার যুগ। বরিশাল থেকে ২৫ হাজার লোক গোপালগঞ্জে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। বিএনপির দুঃশাসনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ক্ষমতায় রেখেছে। আজ ২০২৩ সাল, আমরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশে। আজকে দুর্ভিক্ষ নেই, মঙ্গা নেই। যে মানুষ এক বেলা খেতে পারত না। তারা তিন বেলা খেতে পারছে। বই বিনামূলে বিতরণ করছি। অসহায়দের ভাতা দিচ্ছি। আজকে ১০ কোটি মানুষ উপকারভোগী। আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে শিল্প কলকারখানা চালিয়ে আসছি।১০ টাকায় কৃষকরা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। ১ কোটি ২ লাখ কৃষক অ্যাকাউন্ট খুলে ভর্তুকির টাকা পাচ্ছে।

 

তিনি বলেন, বরিশাল এক সময় ছিল শস্য ভান্ডার। আবারও সেই অবস্থা পিরিয়ে আনতে চাই। এজন্য খাদ্য সংরক্ষণাগার করে দিয়েছি। বরিশাল একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিবো। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি, মেরিন একাডেমী করে দিয়েছি, প্রতিটি নদীল ওপর সেতু করে দিয়েছি। অবহেলিত বরিশাল আজ কোথায় আছে। বরিশাল কি উন্নত হয়েছে? আজকে বরিশাল বিভাগে নৌবাহিনীল ঘাটি করেছি, সেনানিবাস করেছি, এলাকার উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয়েছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি, সেখানে সোলার প্যানলসহ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। ভোলার গ্যাস সিএনজি করে ঢাকায় নিচ্ছি। ভবিষ্যতে বরিশালেও নিয়ে আসবো যাতে আরো শিল্প কারখানা গড়ে ওঠে। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল কুয়াকাটায় চলে আসবে, সেখানে স্থাপন করা হবে যাতে দক্ষিনাঞ্চলের ইন্টারনেট নির্বিঘ্ন হয়। বরিশাল ছিল অন্ধকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এখন প্রতিটি  ঘরে আলো জ্বলছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কতা দিয়ে ছিলাম কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না, কথা রেখেছি। আমরা দিন বদলের সনদ দিয়ে ছিলাম, এখন দিন বদলে গেছে। দারিদ্রের হার ৪১ থেকে ১৮.৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫.১ ভাগ ছিলো তা ৫.৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাল্লাহ এই বাংলাদেশের হতদরিদ্র থাকবে না। ভাঙা থেকে বরিশাল কুয়াকাটা এবং পায়রা পোর্ট পর্যন্ত ছয় লেন রাস্তা তৈরি করে দেব। ইতিমধ্যেই আমাদের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই বরিশালে আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না।

 

প্রযুক্তিখাতে দেশকে এগিয়ে নিতে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি আমরা গড়ে তুলতে চাই যাতে, বিশ্বের সঙ্গে শিক্ষা-দীক্ষায় সব দিক থেকে আমাদের তরুণ প্রজন্ম চলতে পারে।

 

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের ছেলে মেয়ে সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত হবে। আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিখবে। দক্ষ জনশক্তি হবে। আমাদের সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্মার্ট সরকার হবে, আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট অর্থনীতি হবে, সমাজ ব্যবস্থা স্মার্ট হবে। এজন্য আমাদের ছাত্রছাত্রীদের বলব মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। শিক্ষিত জাতি ছাড়া কোনো দেশ কখনো উন্নতি করতে পারে না।

 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার প্রশংসা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে।আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় এই বিভাগের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং তাদের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ঝালকাঠিতে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর সন্ত্রাসী দল ছেড়ে সে এখন নৌকায় উঠেছে। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে দক্ষিণাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। সেটা মাথায় রেখে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা আমি করে দিয়েছি। কাজেই এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। কারা পারবে? একমাত্র আওয়ামী লীগ পারবে।

 

নতুন ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নতুন ভোটার যারা প্রথমবার ভোট দিতে আসবেন, নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার ভোট ব্যর্থ হোক। তরুণ সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। যখন জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ছিল তখন বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশ পিছিয়ে চলে গেছে। আওয়ামী লীগ আসলে দেশ এগিয়ে যায়। কাজেই এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি তারুণ্যেল শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি।

 

তিনি বলেন, ‘৯৬ থেকে থেকে ২০০১ সালে দেশ যত এগিয়ে ছিলো, তারপর  থেমে গেলো। চক্রান্ত করে ২০০১ এ আমাদের হারানো হয়। এরপর যে অত্যাচার শুরু হলো। এই বরিশাল থেকে ২৫ হাজার জনগণ আমার কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জে আশ্রয় নিয়েছিলো। কেউ ঘরে থাকতে পারবো। বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হাড়গুড়ো করে মারা, ঘরবাড়ি দখল করা, মেয়েদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করা, ফাহিমা-মহিমা কতো মানুষ আত্মহত্যা করেছে। এইভাবে তাদের অত্যাচার চলেছিলো। ২০০১ থেকে ২০০৬ ছিলো বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে অন্ধকার যুগ। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন না হলেও ওই বিএনপি ক্ষমতায় থেকে তাদের ভাগ্য গড়েছিল।

 

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময়ে সমস্ত দেশের গ্রেনেড হামলা বোমা হামলা। এমনকি আমার ওপর পর্যন্ত গ্রেনেড হামলা হয়েছিলো। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাঁচিয়ে দিয়েছিলো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আমাদের মানবঢাল করে সেদিন রক্ষা করেছিলো। এই বাংলাদেশকে তারা একটা সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দুর্নীতির অভয়ারণ্যে করেছিলো।

 

দলীয় সূত্র জানায়, বরিশালে জনসভা শেষে আজ বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন। সেখানে তিনি শনিবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে শনিবার দিনব্যাপী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া ও মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যোগদান শেষে ঢাকায় ফিরবেন।

 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে বরিশাল। শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল সহকারে দলে দলে লোক আসে জনসভাস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে। পোস্টার-ব্যানারসহ নৌকা মার্কার প্রচারের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে নানা রঙের পোশাকে বর্ণিল মিছিল নিয়ে তারা হাজির হন নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে। নৌকা আর জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয় জনসভাস্থলসহ পুরো নগরী।

 

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু উদ্যানেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশের কয়েকটি জেলায় জনসভা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বরিশালের এ সফর। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারত এবং এরপর আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর