আরও দুইদিন গণসংযোগ-লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জনের পক্ষে জনমত গড়তে আরও দুইদিন গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি। আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। শনিবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগের একদফার আন্দোলন এখন বেশি ত্বরান্বিত হচ্ছে। প্রতিটি জনগণ আমাদের কর্মসূচিতে সমর্থন দিচ্ছেন। নেতাকর্মীরা হাটে-মাঠে, খেতে-খামারে, বাজারে-শপিংমলে জনগণকে লিফলেট দিচ্ছেন। তারা আমাদের কথা শুনেছেন এবং সমর্থন দিচ্ছেন। কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে সরকার ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছে সেটাই আবারও করছে। পুলিশ হয়রানি করছে, গ্রেপ্তার ও মামলা দিচ্ছে।’
এছাড়াও সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণকালে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, ২৪ ঘন্টায় ১৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, ৬টি মামলায় ৪২৯ জনের বেশি আসামি করা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি সর্বময় ক্ষমতাধর হওয়ার ইচ্ছার কারণে আজ সারাদেশকে নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির চেতনা। কিন্তু আজকে দেশের মানুষ আতঙ্কের মাঝে দিন পার করছে। দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটেছে এবং নারকীয় প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। চারদিকে পুলিশ-র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রাজত্ব চলছে। বাড়ি থেকে লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। নারীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করছে। গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য দিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণকে আতঙ্কের মধ্যে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন। তিনি তো জনগণের ওপর তার সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সীমাহীন দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে আওয়ামী লীগ ভয় পাচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে নীল নকশার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশকে নিয়ে গভীর ও ভয়ানক চক্রান্ত চলছে।’