বিএনপি গুপ্ত হামলার পরিকল্পনা করছে : ওবায়দুল কাদের

আমরা এমনও খবর পাচ্ছি,লন্ডন থেকে বার্তা দেয়া হয়েছে যে প্রয়োজনে গুপ্ত হত্যার মতো পর্যায়ে তারা যাবে। হয়তো দেখা যাবে নেতা বা প্রার্থীদেরকে মেরে ফেলার একটা লাশ বানানোর পরিকল্পনা তাদের আছে এই নির্বাচনকে ঘিরে এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমণ্ডি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সব আন্দোলন করলো, ডিসেম্বর থেকে তারা সরকার পতনের যে আন্দোলন শুরু করেছিলো এই আন্দোলনে তারা স্বাভাবিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে গেছে। আমরা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। খুবই ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে। সব কিছু ব্যর্থ হওয়ার পর এখন তারা লিফলেট বিতরণ করছে। এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে আরও ভয়ংকর কোন হামলার। গুপ্ত হামলার,গুপ্ত হত্যার পথে তারা যাচ্ছে এমন খবর আমরা পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এমনও হতে পারে তারা লাশ বানিয়ে আতংক সৃষ্টি করতে পারে জনগণের ভোট কেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখার জন্য। কাজেই এ বিষয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকেও আরও সতর্ক হতে হবে। কঠোরভাবে এবং আমরা যারা আজকে এই নির্বাচনে বিশ্বাসী, আমাদের সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আমাদের গনতন্ত্রের বিকাশধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের এই নির্বাচন আমাদের করতেই হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে,আমাদের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে,আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে এই নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণ এবং জয়লাভের কোন বিকল্প নেই। এব
সেই লক্ষ্য রেখেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মানুষ ভোট প্রদানের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক হবে, বিএনপি যতই অপপ্রচার করুক,তাদের কথায় জনগণ কান দেবেনা। তারা এ জনস্রোত কি দেখতে পায়না৷ সম্প্রতি সিলেট ও ভার্চুয়াল মিটিংয়ে পর্যন্ত জনগণের যে উৎসবমুখর সমাবেশ এটা দেখেও না। এ দলটি আসলে নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে৷ এখন তারা লিফলেট বিতরনের পির্যায়ে চলে গেছে। একটা রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হলে লিফলেট বিতরনের পর্যায়ে চলে গেছে৷ এই লিফলেট বিতরণের আন্দোলন যেটা পশ্চাৎপদ। পদযাত্রা থেকে পশ্চাৎপদ যাত্রা তারা শুরু করেছে।
কাদের আরও বলেন, কাজেই আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি।তারা যেন সতর্ক পাহারায় থাকে।
নির্বাচন আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমরা অতিক্রম করবো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ।আমরা এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার জন্য আমাদের সারা বাংলাদেশের সর্ব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের যার যা দায়িত্ব পালনের জন্য তথা সতর্ক পাহারা থাকার জন্য এবং জনগণের কাছেও আহ্বান জানাবো এই অপশক্তিকে যারা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে চাই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
এই নির্বাচনকে আমরা ব্যর্থ হতে দেবোনা। নির্বাচন হবেই হবে।
কাদের আরও বলেন,শেখ হাসিনা সবাইকে বলেছেন, জনসভা ও মিটিংয়ে সেটা হল নির্বাচনে আমরা সহিংসতা চাইনা,প্রার্থীরা যদি সংঘর্ষে জড়াই তার দায় আমরা নেবেনা।
নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচন পরিচালনা করছে৷ তারা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে যার জন্য যে শাস্তি নিশ্চিত করবে সেখানে আমাদের কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না।
এখন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধিনে কাজ করবে। এটাই হল নিয়ম। কাজেই নির্বাচন কমিশন এখন শাস্তি দেয়ার মালিক। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে,খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আমরা আবারও আমাদের প্রার্থীদেরকে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আহ্বান জানাবো।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ বিতর্কে জড়াবে না। নির্বাচনী আচরণ বিধি সিবাইকে মানতে হবে। আচরণ বিধি লংঘন যারা করবে,তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন যে শাস্তি নিশ্চিত করবে সেটাকে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করি এবং গ্রহণ করবো৷ এবং এই নির্বাচনে উপস্থিতি কি হবে শেখ হাসিনার জনসভায় জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে। সেখান থেকেও তারা টের পাচ্ছেনা যে মানুষ কত উৎসবমুখর,মানুষ কত স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ৭ জানুয়ারি সারা বাংলাদশে ভোটার টার্ণ আউট হবে। যেটা নিয়ে তারা সন্দেহ করছে,লিফলেট বিতরণ করছে মানুষ যাতে ভোট না দেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সভাপতিমন্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান,প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।