মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

শিক্ষা ছাড়া জীবনটা ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name / ২০৮ Time View
Update : রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। একমাত্র শিক্ষাই পারে। শিক্ষিত জাতি ছাড়া দারিদ্র্যমুক্ত হয় না। এজন্য আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা বাজেটেও বেশি টাকা রাখি। সেটাকে বহুমুখী করার ব্যবস্থাটা করে দিচ্ছি।’

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাঠ্যবই বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পড়ালেখা ছাড়া জীবনটা ব্যর্থ হয়ে যায়। ধন-সম্পদ অনেক কিছু থাকতে পারে। কিন্তু শিক্ষা এমন একটা জিনিস যা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। এই দেশটাকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। সামনে আরও এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান যুগটা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানের যুগ। আমরা কখনো পিছিয়ে থাকব না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।’

এর আগে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

এ সময় প্রতিটি শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে এক সেট করে বই দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া প্রাথমিকের, মাধ্যমিকের ও মাদরাসার ৬০ জন শিক্ষার্থী এবং ৩০ জন শিক্ষাবিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, জাতীয়বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।

২০২৪ সালের জন্য প্রাথমিক স্তরের ৯ কোটি ৩৮ লাখ এবং মাধ্যমিক স্তরের ২১ কোটি ৩২ লাখের বেশি বই বিতরণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরে মোট ১১৭ কোটি ৬৬ লাখ ১৩ হাজার ৪৩৫ কপি পাঠ্য পুস্তক মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। এসব পাঠ্যবই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ১২৩ কোটি ৬৭১ লাখ ৭০৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও মুদ্রণে সরকারের মোট ৭ হাজার ৩১৪ কোটি ২৪ হাজার ৭৩৩ টাকা ব্যয় হয়।

আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এই নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, নবম ও দশম শ্রেণির বই পৃথক। এত দিন নবম ও দশম শ্রেণির বই একই ছিল। সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষাকে মানসম্মত ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীদের কাছে বিনামূল্যে পাঠ্য পুস্তক পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ উদযাপনের মাধ্যমে একযোগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।

আগামী ১ জানুয়ারি সারা দেশের স্কুলগুলোতে বই উৎসব উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর