আ.লীগ-জাপা দেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে: রাশেদ

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেন, এই দুই স্বৈরাচার মিলে দেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে। দেশের ক্ষতি করেছে। সোমবার ১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তার প্রথম ক্ষতি করেছে জাতীয় পার্টি এবং দ্বিতীয় ক্ষতি করেছে আওয়ামী লীগ। এই দুই স্বৈরাচার মিলে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। ২০২৪ সালে যে ভুয়া নির্বাচন হচ্ছে এর মাধ্যমে তারা দেশের গণতন্ত্রের দাফন নিশ্চিত করছে। আমরা বলতে চাই, এদেশের গণতন্ত্রকে আমরা তাদের হাতে দাফন হতে দেব না।
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে অনুরোধ করব- এখনও সময় আছে সব দলকে সঙ্গে নিয়ে বসুন। একটি সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি নিশ্চিত করুন। আমরাও নির্বাচনে যেতে চাই। আমরা চাই বাংলাদেশ অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হোক।
রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন মানে কি একাধিক প্রার্থীর মাঝে ভোট হওয়া? শেখ হাসিনা ব্যতীত সম্ভাব্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হবেন এমনটা কি আমরা কেউ দেখতে পাচ্ছি?
এদেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে কখনোই বিরোধীদল হিসেবে মনে করে না। তাদেরকে জাতীয় বেইমান হিসেবে মনে করে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২৬ আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে পেয়েছে। প্রথমে তারা ২৫ আসন পেয়েছিল। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রীর আসন যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত না হয়েছে, ততক্ষণ তিনি নির্বাচনে যেতে চাননি। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘ঢাকাকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে, আর এই ঢাকাকে অন্ধকারে রেখে আমি নির্বাচনে যাব না। ’ সরকার এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে যখন তাদেরকে আসনের লোভ দেখিয়েছে, তখন তারা নির্বাচনে গিয়েছে। এই বেইমানদেরকে জাতি চিনে রাখছে, কখনোই তাদেরকে ক্ষমা করবে না। জাতীয় পার্টি আজকে যেখানেই ভোট চাইতে যায় সেখানে মানুষ তাদের উপর হাসি-ঠাট্টা করে।
পথসভা শেষে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন