শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

আবারও করোনার ভয়, মাস্ক পরার পরামর্শ

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৯০ Time View
Update : বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৪

আবারও চোখ রাঙাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ পরিস্থিতি, নতুন ধরন জেএন.১ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং এই ধরনটি বেড়েছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে এবং নতুন এই ধরন এখনো চিহ্নিত হয়নি।

এ পরিস্থিতিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটি মাস্ক পরাসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অন্যান্য জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন- হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে।

সভায় সকলের পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি- যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে।

সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিটি কেবলমাত্র কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর