ওয়ার্নারের অসাধারণ বিদায়
২০১১ সাল থেকে যে যাত্রা শুরু হয়েছিলো, সেই যাত্রার ইতি টানলেন ওয়ার্নার। বিশ্বকাপের আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, সিডনিতে পাকিস্তানের বিপক্ষেই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালেই ঘোষণা দিয়েছেন, ওয়ানডে ক্রিকেট কবে ছাড়বেন। অর্থ্যাৎ, সদ্যই টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করা ওয়ার্নারের ক্যারিয়ারের রোডম্যাপ জানা হয়ে গেছে ভক্তদের। আগামী বছর (২০২৫) আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন ওয়ার্নার।
অভিষেক হয়েছিলো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রিসবেনে। ওই টেস্টে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ৩ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ওয়ার্নার অপরাজিত ছিলেন ১২ রানে।
দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেলেন। হোবার্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসেই খেললেন অপরাজিত ১২৩ রানের ইনিংস।
ইনজুরি ছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার সেই থেকে অস্ট্রেলিয়া দলের নিয়মিত সদস্য। খেলেছেন মোট ১১২টি টেস্ট। ৪৪.৫৯ গড়ে ৮৭৮৬। সেঞ্চুরি করেছেন ২৬টি। হাফ সেঞ্চুরি ৩৭টি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৩৫ রান।
বিদায়ী টেস্ট সিরিজটাও খুব একটা খারাপ কাটেনি। বিশেষ করে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ থেকেই দারুণ ফর্মে ছিলেন ওয়ার্নার। পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থ টেস্টে সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ইনিংসেই করেছিলেন ১৬৪ রান। পরের ইনিংসে অবশ্য শূন্য। তাতেও সমস্যা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার জয় ৩৬০ রানের ব্যবধানে।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৮ এবং পরের ইনিংসে ৬ রান করেন। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে এসে জয়ের সঙ্গে চেয়েছিলেন ভালো কিছু করবেন নিজে। প্রথম ইনিংসে ৩৪ রানে আউট হয়ে হতাশ করেছিলেন।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি করলেন। ৫৭ রান করে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষটা রাঙিয়ে নিলেন। সঙ্গে টেস্ট জয়। সব কিছু মিলিয়ে এমন অসাধারণ বিদায় আর কারই বা হয়। ওয়ার্নার সেই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হলেন।