নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সড়ক অবরোধ

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছেন সদ্য নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের কালিহাতী থানার সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন তিনি।
এতে সড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো যাত্রী।
বড় ভাইয়ের অবরোধের খবর পেয়ে কালিহাতী ছুটে এসেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম।
জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দিন সোমবার কালিহাতীর নাগবাড়ীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুমের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। আব্দুল কাইয়ুম আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারের অনুসারী। এ ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তিকে আসামি করে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর কালিহাতী থানা পুলিশ এজাহারভুক্ত মনির সওদাগর ও লাট মিয়া নামে দুই যুবকসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারী এবং তার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারী সাবেক চেয়ারম্যান হাসমত আলী ও মোশারফ হোসেন সিদ্দিকী থানায় যান মনির ও লাটের খোঁজ নিতে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাদের আটক করে পুলিশ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সদ্য নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকী ও তার অপর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী নিজেদের শত শত নেতাকর্মী নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেন। তারা তারা গ্রেপ্তারকৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় বসে পড়েন। পরে থানা থেকে হাসমত আলী ও মোশারফ হোসেন সিদ্দিকীকে ছেড়ে দিলেও এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ সবাইকে গ্রেপ্তার রেখেছে।
এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগের মনোনীত পরাজিত প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারও তার নেতাকর্মীদের নিয়ে থানার দিকে আসতে থাকেন। সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ দু’পক্ষের মধ্যে অবস্থান নিয়ে তাদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়।
এদিকে, বড় ভাইয়ের অবস্থান ধর্মঘটের খবর পেয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী কালিহাতীতে ছুটে আসেন। তিনি থানায় অবস্থান করেন।
লতিফ সিদ্দিকী বা কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দু’জন এজাহারভুক্ত আসামিসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। পুলিশ কর্মকর্তারা অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।