রাজারহাটে ঠান্ডায় জুবুথুবু অবস্থা
পৌষের শেষে এসে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ঘন কুয়াশা ও হাঁড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবি ও নিম্নআয়ের মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। রাতে ও সকালে বৃষ্টির ফোঁটার মত পড়ছে কুয়াশা।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। ফলে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সকাল ৭টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
এদিকে, রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময় মতো কাজে বের হতে পারছেন না।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ গ্রামের নজরুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ঠান্ডায় আমার অবস্থা শেষ। হাতে টাকা পয়সা নাই, শীতের কাপড় কিনতে পারি নাই।
একই এলাকার আতিকুর রহমান বলেন, কুয়াশা এবং ঠান্ডা। ক্ষণিকের মধ্যে হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। হিম বাতাস কাবু করে ফেলছে। আগে শীত এলে কম্বল বিতরণ হতো এখন তাও হয় না।
ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক বলেন, সবচেয়ে এবার কম কম্বল পেয়েছি। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। আর কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। তবে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এই রকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এ মাসের মধ্যে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।