হিমশীতল কুয়াশা আর ঠান্ডায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় একদিন পর কমেছে তাপমাত্রা। ঘন কুয়াশার আবরণে উত্তরের এই উপজেলা। হিমশীতল কুয়াশায় ঝরছে বরফের শীত। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের চেয়ে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, রোববার ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি, শনিবার (০৬ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ৭, শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ৪, বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ৫, বুধবার (০৩ জানুয়ারি) ৭ দশমিক ৪, মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) ১০ দশমিক ৭ ও সোমবার (০১ জানুয়ারি) ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জেলার পরিবেশ। কুয়াশার কারণে শহর ও গ্রামের সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে হিমশীতল শিশির। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের পেশাজীবীরা। ভ্যানচালক, পাথর ও চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নানা শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্নআয়ের পেশাজীবীরা।
স্থানীয়রা জানান, গতকালের চেয়ে আজ প্রচন্ড ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশা। দুদিন ধরে ভোরে দেখা মিলছে না সূর্য। সোমবার দিনভর কুয়াশায় ঢাকা ছিল জেলার পরিবেশ। আজ ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত লাগছে। তবে বেশি ঠান্ডা শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। রাত যত বাড়ে ততই বরফ হয়ে উঠে। সারারাত কুয়াশার সঙ্গে শিশির বৃষ্টি ঝরে।
চা চাষি মোজাম্মেল জানান, খুব ঠান্ডা বারে। হাত-পা অবশ হয়ে অসছে। কিন্তু কি করিম, পেটের ক্ষুধা ঠান্ডা বুঝে না। তাই ভোর-সকালত কাজত বের হইছু।
একই কথা বলেন ভ্যানচালক হাসমত আলীও।
ফেরদৌসি আক্তার, মার্জিয়া ও সুমন রানাসহ শিক্ষার্থীরা জানান, আজ খুব ঘন কুয়াশা। তার সঙ্গে শিশির পড়ছে। প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছে। প্রাইভেটে যাচ্ছি। বিশেষ করে রাতে ও ভোরে উঠে পড়ালেখা করতে খুব কষ্ট হয় ঠান্ডার কারণে।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গতকালের চেয়ে আজ ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। ভোর থেকে সূর্য ঢাকা রয়েছে। হিমেল বাতাস বইছে। বিশেষ করে শীত বেশি লাগার কারণ হচ্ছে বায়ুর গতি বেগ। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, সেটি শীতকালের। বাতাসের গতি বেগ বেশি হলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে। আর দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকায় ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে।