বিএনপিকে জনগণ বিশ্বাস করে না বলেই তারা নির্বাচন বর্জন করেছে: শেখ পরশ
বিএনপির তাদের আগুন সন্ত্রাস অপকর্মের জন্য মানুষের শুধু মাত্র ঘৃণাই রয়েছে; মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পেয়েছে। সেই অপরাধবোধ থেকে মানুষের সামনে ভোট চাইতে ভয় পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছে যুবলীগ প্রেসিডেন্ড শেখ ফজলে শামস পরশ
আজ ১৩ জানুয়ারি, দুপুর ২:৩০টায়, বনানী মডেল স্কুল মাঠে যুবলীগের উদ্যোগে দেশব্যাপী অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধক ও সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন,মানুষ নিয়ে তাদের বিএনপির কোনদিনই গরিবদুঃখী মানুষ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। তারা রাজনীতি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য, আর শেখ হাসিনা রাজনীতি করে আপনাদের মঙ্গলের জন্য, কর্মজীবী খেটে-খাওয়া মানুষের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য।
যুবলীগ প্রেসিডেন্ট শেখ পরশ আরও বলেন, যুবলীগ গণমানুষের সংগঠন। আমাদের রাজনীতি আপনাদের জন্য। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ শুধু ভোটের সময় আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসে না, ভোটের পরেও আমরা আপনাদের কাছে ছুটে আসি। আমাদেরকে আপনারা সর্বদা আপনাদের কাছে পাবেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি আপনাদেরকে কেন্দ্র করে। আপনাদের মৌলিক চাহিদাঃ অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য রক্ষা করা আমাদের রাজনীতি করার প্রধান লক্ষ্য। এটা বঙ্গবন্ধুকন্যার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা যে আপনাদেরকে আর কোনদিন ভাত-কাপড়ের জন্য কষ্ট করতে হবে না। তবে আমরা বুঝি, আপনাদের কিছু কষ্ট হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম সারা বিশ্বেই বেড়ে গেছে। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম না। বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ এই দ্রব্যমূল্য আপনাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা।আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সবচেয়ে প্রথমে দ্রব্যমূল্য কমানোর অঙ্গিকার করা হয়েছে।
প্ররশ আরও বলেন-একটা স্মার্ট বাংলাদেশ থিমে, “উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান” স্লোগানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে কিছু বিষয় আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবোঃ (১) দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া (২) কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা (৩) নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা। আওয়ামী লীগ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের জীবনমান উন্নত করা। সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে; আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার উপর আস্থা রাখতে হবে। অচিরেই আমরা এই সংকট সমাধান করবো।
তিনি আরও বলেন-আপনারা যদি ঠিক ১৫ বছর আগের চিত্রে ফিরে যান, আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, কি দুরবস্থা ছিল আমাদের সামগ্রিক জীবনে। মানুষের ভাত এবং কাপড়ের সমস্যাতেই সাধারণ মানুষ জর্জরিত থাকত। গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং সারের জন্য মানুষের উপর গুলি চালানো হয়েছিল বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে। চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি লেগেই ছিল। মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা ছিল না, ছিল না মানুষের অধিকার। আসলে বিএনপি-জামাত সরকার ছিল সমাজের উচ্চ শ্রেণি দ্বারা লালিত, উচ্চ শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করার সরকার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।