বড় মন্ত্রী হওয়া নয়, জনগণের ভালোবাসা পাওয়া রাজনীতিবিদদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বড় মন্ত্রী হওয়া নয়, রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জনগণের ভালোবাসা পাওয়া, গণমানুষের নেতা হওয়া, গণমানুষের এমপি হওয়া -আমি সেটিই হতে চাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সফরের পথে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরে দলীয় নেতা-কর্মীদের ও সাধারণ মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন ড. হাছান মাহমুদ। বিমানবন্দরের বাইরে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের দোয়া চাই, আশীর্বাদ চাই আমি যেন একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে গণমানুষের মানুষ হওয়া। বড় মন্ত্রী হওয়া নয়, রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জনগণের ভালোবাসা পাওয়া, গণমানুষের নেতা হওয়া, গণমানুষের এমপি হওয়া আমি সেটিই হতে চাই। আমার গাড়ির সামনে কোনো একজন ভিখারিও হাত দেখালে আমি দাঁড়াই, আমি সেইভাবেই থাকতে চাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আজকে প্রথম আমি চট্টগ্রামের মাটিতে এসেছি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম দিয়েই এদেশে ইসলাম প্রচার শুরু হয়েছে, আমি আল্লাহর কাছে এবং আপনাদের কাছে দোয়া চাই, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ভাইদের কাছে আশীর্বাদ চাই, যাতে করে এই দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করতে পারি এবং দেশের মান-মর্যাদা আরও উজ্জ্বল করতে পারি, পূর্ব-পশ্চিম সব দেশের সাথে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ও ঘনিষ্ঠ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের কক্সবাজারে ১৪ লাখ রোহিঙ্গা আছে, আপনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আপনি কি উদ্যোগ নেবেন’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন, ‘আমরা সবসময় কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমরা তাদের সাথে আরও এনগেজমেন্ট বাড়াচ্ছি, আমি ন্যাম সামিটে (জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন) যাচ্ছি, সেখানে মায়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা কূটনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
নিজ নির্বাচনী এলাকার সবাই অত্যন্ত কষ্ট করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি গত ১৫ বছর ধরে চেষ্টা করেছি গণমানুষের এমপি হওয়ার জন্য। কে আমাকে ভোট দিয়েছে কিংবা দেয়নি, সেটি কখনো আমি বিবেচনায় রাখিনি। আমি প্রার্থী হিসেবে সবসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী, কিন্তু সবমানুষের এমপি হয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি এবারও নতুন অভিযাত্রায় সব মানুষের এমপি হিসেবে কাজ করতে চাই।