সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না,কাটতেই নির্বাচন কমিশন আজকে সংরক্ষিত (৫০টি)নারী আসনের ভোট ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে ঘোষণা দিয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনের ভোট ঘোষণার পরপরই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তদবির,লবিং শুরু করেছেন।
আজ মঙ্গলবার( ১৬ জানুয়ারি) দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৩৩০ আসনের মধ্যে ২২২ আসনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের কাজ সম্পন্ন করেছে। ১১ জানুয়ারি মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন এর কাছে শপথ গ্রহণ শেষে নতুন সরকারের ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে কাজ শুরু করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনের ভোট ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে আজ দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি নির্বাচিত হবেন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়া জনপ্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে।
অশোক কুমার দেবনাথের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনী তফসিল হতে পারে আগামী সপ্তাহেই। অর্থাৎ সংসদের প্রথম অধিবেশনেই ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক ১০ জন সংরক্ষিত নারী এমপি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি এবং কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এছাড়া একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হয়ে যাওয়া নওগাঁ-২ আসনের ভোট হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৩৮টি (নৌকা প্রতীকে জয়ী জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির দুইজনসহ), জাতীয় পার্টি ২টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১০টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারেন।
সরাসরি নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পাওয়ায় তারা সংরক্ষিত নারী আসন পাচ্ছে না। তবে স্বতন্ত্ররা কোথাও যোগ দিলে হিসাব পাল্টাতে পারে।