‘বাল্কহেডের ধাক্কায় নয়, তলা ফেটে ফেরিডুবি’
বাল্কহেডের ধাক্কা নয়, ওভারলোড থাকায় রজনীগন্ধা ফেরিটি তলা ফেটে ডুবে গেছে বলে দাবি করেছে নৌপুলিশ। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে নোঙর করা ফেরিটি ডুবে যায়।
ঘটনার পর বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, ঘন কুয়াশার কারণে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ফেরিটি ডুবে গেছে।
এদিকে ফরিদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ফেরিটি অনেক পুরাতন এবং ওভারলোড থাকায় তলা ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ফেরিতে থাকা পণ্যবোঝাই একটি ট্রাকের মালিক নাজমুল হোসাইন বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার পর নোঙর করা ফেরির পেছন দিয়ে পানি উঠতে থাকলে আমরা ফেরির লোকজনকে ডেকে বলি। কিন্তু তারা বিষয়টি তোয়াক্কা করেনি। তারা ইচ্ছা করলে ফেরিটি দ্রুত স্টার্ট করে তীরে নিয়ে যেতে পারতেন। ফেরিতে কোনো কিছু ধাক্কা দেয়নি। তলা ফেটেই ফেরিটি ডুবে গেছে।
এদিকে ফেরিডুবির ঘটনায় পাঁচ সদসেদ্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাকে বলা হয়েছে, ফেরিটি নোঙর করা ছিল, বাল্কহেড ধাক্কা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাবে না কোনটা সত্য।