বাইডেনের সতর্ক বার্তার পর হুথির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের হুথিদের বিরুদ্ধে নতুন হামলা শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা হুথি অবস্থানে হামলা চালিয়ে যাবে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের সর্বশেষ হামলা হুথিদের দু’টি এন্ট্রি শিপ মিসাইল স্থাপনায় আঘাত করেছে। হুথিরা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ব্যস্ত শিপিং করিডোরে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের প্রাথমিক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরে মার্কিন বাহিনী হুথিদের বিরুদ্ধে কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ার প্রত্যাশী জো বাইডেন স্বীকার করেছেন, পশ্চিমা হামলাগুলো এখনও আন্তর্জাতিক শিপিংয়ে হুথিদের আক্রমণ প্রতিরোধে সফল হয়নি।
হুথিদের ওপর হামলা কাজ করছে কিনা হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা বাইডেনের কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা বলছেন হুথিদের থামানো যাচ্ছে কীনা, না থামানো যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র হামালা চালিয়ে যাবে কীনা? হ্যাঁ হামলা চলবে।’
বাইডেন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার কয়েক মিনিট পর হোয়াইট হাউস সর্বশেষ হামলার ঘোষণা দিয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আজ সকালে আমরা আবারও হামলা চালিয়েছি, কয়েকটি এন্ট্রি শিপ মিসাইল স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্রের উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস করার কারণ ছিল যে, এ গুলো দক্ষিণ লোহিত সাগরে আসন্ন হামলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর জন্য ‘আসন্ন হুমকি’ হয়ে দেখা দিয়েছে।
সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে,‘মার্কিন বাহিনী পরবর্তীতে আত্মরক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আঘাত করে ধ্বংস করে।’
বুধবার ওয়াশিংটন পুনরায় হুথিদের একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসাবে তালিকাভূক্ত করে হুথিদের ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের উপর হামলা চালানোর একদিন পরে নতুন এই হামলা চালানো হয়।
ওয়াশিংটন বলছে, বিশ্বের ব্যস্ততম সামুদ্রিক করিডোরে আন্তর্জাতিক শিপিং-এ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর বিদ্রোহীদের ক্ষমতা হ্রাস করাই এই হামলার উদ্দেশ্য।
বিদ্রোহীরা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
মার্কিন ও ব্রিটিশ হামলা সত্ত্বেও হুথিরা আন্তর্জাতিক শিপিংকে আঘাত করে চলেছে। সম্প্রতি মার্কিন মালিকানাধীন বাল্ক কার্গো ক্যারিয়ারে আঘাত করেছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে,‘আমরা অবশ্যই চাই না যে এই অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়–ক।
জন কিরবি বলেছেন,‘আমরা হুথিদের সাথে সংঘাত খুঁজছি না, আমরা এই অঞ্চলে সংঘাত খুঁজছি না’। ‘কিন্তু আমাদের নিজেদের আত্মরক্ষায় কাজ করতে সক্ষম হতে হবে। শুধু আমাদের জাহাজ এবং আমাদের নাবিকদের জন্য নয়, লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক শিপিংয়ের জন্য।’