বিএনপির আন্দোলন দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পায়তারা-কাদের
বিএনপির আন্দোলন এখন দেশে বিদেশে হাসি তামাশা পরিনত হয়েছে। তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি, তাদের আন্দোলনের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে। মূলত তাদের তথাকথিত আন্দোলন দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পায়তারা বলে আমরা মনে করি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ রবিবার (২১জানুয়ারি ) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির তাদের তথাকথিত আন্দোলনে সুনির্দিষ্ট কোন রুপ রেখা নেই। কাজেই তাদের আন্দোলন স্পষ্ট নই। একবার তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আবার নির্বাচন বানচালের জন্য আন্দোলন করে । আসলে বারবার তথাকথিত আন্দোলনে ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে তারা হাসিতামাশায় পরিনত করেছে।
তিনি বলেন, আজকে বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে।
আমাদের কথা হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে এরা কর্মসূচি দেয়ার অধিকার আছে কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি তারা ২৮ অক্টোবরের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে,মানুষ পুড়িয়ে মারে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় সেই অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে আগামী ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সকল জেলা ও মহানগরে কালো পতাকা মিছিল করবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ,সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং সংসদ বাতিলের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে আপনার মতামত কি জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন,আমরা আগেও বলেছি বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণ কোন কর্মসূচি দেয় আমরা তাহলে বাধা দেবোনা। রাজনৈতিক কর্মসূচি তারা পালন করতেই পারে এটা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির বাইরে না কিন্তু আন্দোলনের নামে সংঘাতের আশ্রয় নেয় সেই অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। এবং রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবেলা করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল,দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শিখরসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।