সংরক্ষিত আসনে আলোচনায় যারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনে নির্বাচন শেষ হলেও এখনো কাটেনি নির্বাচনীর রেশ। ভোট স্থগিত হওয়ায় নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচনের জন্য ইসি নতুন তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ওই আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখন সংসদে সংরক্ষিত আসনে বসতে দৌঁড়-ঝাঁপ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীরা। তফসিল ঘোষণা না হলেও মনোনয়ন পেতে নানা কায়দায় সক্রিয় রয়েছেন তারা। সে ক্ষেত্রে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যরা এবং দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের মনোনয়নবঞ্চিতরাও রয়েছেন সেই দৌঁড়ে। এমনকি নৌকার মনোনয়ন পেলেও জোট ও শরিকদের কারণে সরে দাঁড়ানোর পর এবার তারা সংরক্ষিত আসনে এমপি হলে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন কেউ কেউ। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরে যাওয়া কয়েকজনও এ দৌঁড়ে শামিল হয়েছেন। ধরনা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের কাছেও। অবহিত করছেন আন্দোলন-সংগ্রামসহ নির্বাচনে দলের পক্ষে ভূমিকার কথা। ছুটে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়েও।
এছাড়া, পেশাজীবী সংগঠনের নেত্রী এবং বিভিন্ন মাধ্যমের তারকারাও নানা ভাবে জানিয়ে রাখছেন তাদের আগ্রহের কথা। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের মধ্যে ৪৩টি পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। এসব আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য এক হাজার ৫১০ জন আবেদন করেছিলেন। এবারও পরিস্থিতি একই রকম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নারীদের মূল্যায়ন করার সম্ভাবনা বেশি থাকছে। মনোনয়ন পেয়েও জোট বা শরিকদের জন্য আসন ছেড়ে দেওয়া এবং যোগ্যতায় এগিয়ে থাকার পরও যাদের নানা কারণে দলের মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়নি, এমন নারী নেত্রীরা এগিয়ে থাকবেন সংরক্ষিত আসনের দলীয় মনোনয়নে।
তাছাড়াও, আওয়ামী লীগের দুর্দিনের ত্যাগী ও নিবেদিত প্রয়াত নেতা-মন্ত্রীদের স্ত্রী-কন্যাদের যারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত তারাও পেতে পারেন দলীয় সমর্থন। কেন্দ্রীয় নেত্রীদের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে দলের জন্য ভূমিকা রাখা নারীদের মূল্যায়ন করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যেসব জেলা থেকে দীর্ঘদিন সংরক্ষিত আসনে কেউ এমপি ছিলেন না, সেসব জেলা প্রাধান্য পেতে পারে। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সমাজের বিশিষ্টজনদেরও সংরক্ষিত আসনে নারী সংসদ সদস্য বানিয়ে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে আওয়ামী লীগ। এগিয়ে থাকার সম্ভাবনায় থাকছেন অভিনেত্রী-শিল্পী-ব্যবসায়ী-সমাজকর্মীসহ দলের প্রয়োজনে কাজ করা তারকারাও।
আইন অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। ০৯ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় আগামী ০৯ এপ্রিলের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন করতে হবে। প্রথাগত ভাবে সংরক্ষিত নারী আসনে সাধারণত আসনের চেয়ে বেশি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় দল বা জোট মনোনীত প্রার্থীরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। ফলে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হতে আগ্রহীরা নিজেদের দল বা জোটের নেতাদের কাছেই ধরনা দিচ্ছেন। নানা ভাবে চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণে।
সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংসদের আসনের সংখ্যানুপাতে নির্ধারিত সংরক্ষিত মহিলা আসনে রাজনৈতিক দল বা জোটগুলো তাদের নির্ধারিত আসনের জন্য একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। আসন বণ্টনে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের জন্য কোনো নির্ধারিত নির্বাচনী এলাকা নেই। তারা কেবল দলীয় বা জোটের সদস্য হিসেবে পরিচিত হবেন। এক্ষেত্রে দল বা জোটের প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে মহিলা আসন বণ্টিত হবে। সংবিধান অনুসারে, বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা ৫০টি। এই ৫০ সংখ্যাকে ৩০০ (দেশের নির্বাচনী এলাকা) দিয়ে ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যাবে, তাকে কোনো দল বা জোটের যে সংখ্যক সদস্য শপথ নিয়েছেন তা দিয়ে গুণ করলে যে ফল পাওয়া যাবে, সেই সংখ্যক মহিলা সদস্য হবে ওই দল বা জোটের। গুণফল ভগ্নাংশ হলে সে ক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৫ (০.৫) বা তার থেকে বেশি সংখ্যকের জন্য একটি আসন পাওয়া যাবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে বণ্টিত আসন সংখ্যা মোট আসনের থেকে বেড়ে গেলে ভগ্নাংশের হিসাবে হেরফের হতে পারে। আইনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে লটারির বিধানও রয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, এবার আওয়ামী লীগ সংসদে ২২৩টি আসন পেয়েছে। এই হিসাবে এ দলটির ৩৭টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পাওয়ার কথা। ৫০ ভাগ ৩০০=০.১৬৬৭। এরপর ২২৩ গুণ ০.১৬৬৭=৩৭.১৭। এই হিসাবে জাতীয় পার্টির ১১টি আসনের বিপরীতে দু’জন মহিলা সংসদ সদস্য পাওয়ার কথা। অপরদিকে, স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচিত ৬২ জন জোটবদ্ধ ভাবে ১০ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পাবেন। বাকি তিনটি দল (জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি) জোটগত ভাবে এলে তারা একটি আসন পাবেন। অবশ্য সংরক্ষিত আসন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চাইলে যেকোনো দল বা জোট তাদের ইচ্ছামতো যেকোনো দল বা জোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারবে। এখানে উল্লেখ্য, প্রার্থীর মৃত্যুতে নির্বাচন বাতিল হওয়া নওগাঁ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হলেও দলটি তাদের অংশে সংরক্ষিত আসনে ৩৭ জন সদস্যই প্রাপ্য হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পদে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যারা প্রতিনিয়ত দৌঁড়-ঝাঁপ করছেন তাদের মধ্যে সম্ভাবনার তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সাবেক সংসদ সদস্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, পারভীন জামান কল্পনা, মারুফা আক্তার পপি, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলী, ওয়াসিকা আয়শা খান, নাহিদ ইজাহার খান, ডা. রোকেয়া সুলতানা, বেগম শামসুন নাহার, পারভীন হক সিকদার, অপু উকিল, সাবিনা আক্তার তুহিন, মনিরা সুলতানা, মহিলা শ্রমিক লীগ নেত্রী সুরাইয়া আক্তার, কাজী রহিমা আক্তার সাথী ও শাসুন্নাহার ভূঁইয়া।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়েও জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ায় কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী ও গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব আরা গিনি, নাগরিকত্ব জটিলতায় প্রার্থিতা বাতিল হওয়া দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, সংরক্ষিত মহিল আসনের বর্তমান এমপি পারভীন হক সিকদারকেও সংরক্ষিত আসনে এমপি করা হতে পারে।
মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, ধানমন্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মিলি, যুব মহিলা লীগ সভাপতি ডেইজী সরোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমীন সুলতানা লিলি, শহীদ বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে অভিনেত্রী শমী কায়সার, শাওন মাহমুদ, তারকাদের মধ্যে রোকেয়া প্রাচী, তানভীন সুইটি আলোচনায় রয়েছেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ সোনালী বার্তাকে বলেন, প্রথমত দলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীরা প্রাধান্য পায়। বিশেষ করে দলের প্রতি ত্যাগ, সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই সংরক্ষিত নারী আসনে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়। এটা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। আগ্রহীরা আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন করবেন। যাচাই-বাছাই হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে অতীতে যেভাবে হয়েছে এবারও সেভাবেই যথাযথ বিধি-বিধান অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা হবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র মতে, আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু না হলেও সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭১ জন এমপিকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে যে সংস্কার শুরু হয়েছে, সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিদের আমলনামা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সংসদের কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয়তা, নানা বিতর্ক ও অদক্ষতার কারণে এবার সংরক্ষিত সংসদ সদস্যদের অনেকে বাদ পড়তে পারেন। তাদের জায়গায় যুক্ত হবে নতুন মুখ। এই তালিকায় থাকবেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হেরে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী, দলের মনোনয়ন বঞ্চিত, নৌকার টিকিট পেয়েও জোটের কারণে সরে দাঁড়ানো প্রার্থী, ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী, সহযোগী ও পেশাজীবী সংগঠনের পদধারীরা। দলের দুর্দিনে ত্যাগী ও নিবেদিত প্রয়াত নেতাদের স্ত্রী কিংবা কন্যা মনোনয়ন পেতে পারেন। কেন্দ্রীয় নেত্রীদের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে দলের জন্য ভূমিকা রাখা নারীদের মূল্যায়ন করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যেসব জেলা থেকে দীর্ঘদিন সংরক্ষিত আসনে কেউ সংসদ সদস্য ছিলেন না, সেসব জেলা প্রাধান্য পেতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নারী নেত্রী ও বিশিষ্টজনদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমের তারকাদের মধ্য থেকেও কেউ কেউ সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হতে পারেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ সোনালী বার্তাকে বলেন, বিগত দিনে যারা সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তারা থাকতেও পারে আবার অনেক নতুন মুখও আসতে পারে। এই বিষয়ে পার্টিগত ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন, মিটিং আহ্বান করলে এরপর আমরা বলতে পারবো কতজন পরিবর্তন হবে তার আগে কিছু বলা সম্ভবপর নয়।
প্রসঙ্গত জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন আইন অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচনের মতো সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। নির্বাচন কমিশন জোটের তালিকা প্রকাশ্যে টানানোর পর এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবে। একইসঙ্গে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই ও ভোটের দিন ঘোষণা করবে। এছাড়া ভোটগ্রহণের স্থান নির্ধারণ করবে। ভোটের প্রয়োজন পড়লে সংসদ ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। তবে এ নির্বাচনের জন্য সংসদের কোনো বৈঠকের প্রয়োজন নেই। অধিবেশন চলুক বা না চলুক, কোনো সমস্যা নেই। সংরক্ষিত আসনের ভোট অধিবেশন কক্ষের বাইরে সংসদ সচিবালয়ের যেকোনো স্থানে হতে পারে।