শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ১৩৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় এ কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

বিফ্রিংয়ে বেদান্ত জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জলবায়ু পরিবর্তন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতাসহ দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী দেশটি। পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও অংশীদারিত্ব বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানান বেদান্ত প্যাটেল।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে নির্বাচনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব গভীর করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নকারী বলেন, বাংলাদেশে গত সাধারণ নির্বাচনের পর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাথে মার্কিন অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কোন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা ভাবছে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকগুলো পদক্ষেপ রয়েছে এবং (এই ধরনের পদক্ষেপ) নেওয়া অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আপনি আমাকে এখানে আগেও বলতে শুনেছেন, গত বছর বাংলাদেশের সাথে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের বার্ষিকী ছিল এবং এমন বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে – বিশেষ করে জলবায়ু সহযোগিতা, নিরাপত্তা সহযোগিতা – যেখানে আমরা বিশ্বাস করি (অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার) সুযোগ রয়েছে।

বেদান্ত প্যাটেল বলেন, অবশ্যই এর মাধ্যমে আমাদের বেসরকারি খাতের সাথেও যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি এই সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন, ব্যবসায়িক সুযোগ এবং রোহিঙ্গা সংকটের মতো পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কীভাবে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে তা নিয়ে আলোচনা করেন।

পিটার হাস বলেন, ‘আমি পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে চাপ দিতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এক বিবৃতিতে দেশটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনকে ঘিরে নানা অভিযোগ ও সমালোচনা করে। তবে নির্বাচনের পর থেকে সুর কিছুটা নরম করে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌহার্য্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র।

এমআর


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর