এখন হবে রাজনীতির খেলা -কাদের
খেলা একটা হয়ে গেছে। নির্বাচনের খেলা শেষ, ৫ বছরের জন্য। এখন খেলা হবে রাজনীতির, এখন খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, , জঙ্গিবাদ,হরতাল, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলিস্তানস্থ ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখতে দেখতে ১৫ বছর পার হয়েছে সামনে আরও ৫ বছর। মানুষ বাঁচে কয় বছর ? কবে হবে আন্দোলন। এই বছর না ঐ বছর ।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বাবুকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গয়েশ্বর বাবু, চীন ভারত আর রাশিয়া আমাদের বন্ধু হতে পারে। আমাদের সরকার কোন বিদেশি শক্তি বসায় নি। বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনে শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই সরকার জনগণের সরকার, নির্বাচিত সরকার। যেখানে ২৮ টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
বিএনপির আন্দোলন, অবরোধ, হরতাল,২৮ দফা,১০ দফা বিএনপির এক দফা ভূয়া সব ভূয়া।বিএনপি মানেই হচ্ছে ভূয়া।
তিনি আরও বলেন, মাঠে নেমেছে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে।
কালো পতাক মানে কি? শোক মিছিল।
সমাবেশে আগত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, তৈরি হয়ে যান ৩০ তারিখে আবার কালো পতাকা মিছিল বিএনপির। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মহানগর জেলা সকল উপজেলায় সেদিন আপনারা লাল-সবুজ পতাকা হাতে গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নের সমাবেশ করবেন। সারাদেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা পাহারায় থাকবেন।এই অপশক্তিকে আমরা আর বাড়তে দিতে পারিনা। এই অপশক্তিকে আমাদের রুখতে হবে। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে। তার মতো সৎ, শেখ হাসিনার মতো,পরিশ্রমী,সৎ, জনবান্ধব সরকার এইদেশে আগে কখনো আসেনি। আপনারা আস্থা হারাবেন না,এই সংকটে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সমাবেশ মঞ্চ থেকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ।
এ সময় মঞ্চে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্ধসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।