বিএনপির লক্ষ ছিল অসাংবিধানিক সরকার গঠন করা-হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন ,দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা করে স্বাধীনতা বিরোধী এবং তাদের দোসরা । তারা অনেক পানি ঘোলা করার চেষ্টা করেছিলো।তাদের লক্ষ ছিল একটাই,যে কোন মূল্যে নির্বাচন বানচাল করতে পারলে দেশে একটা সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে, এবং সেই সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে অসাংবিধানিক কোন সরকার গঠন করা।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলিস্তাস্থ ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিন্যিউ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন ।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন , দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।এই নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে অনেক নাটক হয়েছে। । এই অসাংবিধানিক সরকার গঠন করতে গিয়ে তারা বিগত ২০১৩-১৪ সালের মতো নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশকে উন্নত করেছেন ,যেভাবে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যম আয়ের দেশ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।পুরোদমে চলছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ ,দেশের সেই উন্নয়ন অগ্রগতি ব্যহত করাই ছিল বিএনপির প্রধান লক্ষ।
হানিফ আরও বলেন, এই অপশক্তি বিএনপি তাদের দোসর জামায়াত মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সংবিধান। বারবার চেষ্টা করেছে সংবিধান কাটাছেঁড়া করার জন্য। বারবার আমাদের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বারবার বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে দেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আজকে প্রমাণ হয়েছে এই বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল থেকে তাঁর উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন,৭ জানুয়ারি নির্বাচন এই বাংলাদেশে একটা নতুন মাত্রা যুক্ত করে দিয়েছে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে । যারা নির্বাচন বয়কট করার রাজনীতি করে ,নির্বাচন বানচাল করার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখে তাদেরকে একটা বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কে বয়কট করলো তাতে কিছু যায় আসেনা । এদেশের জনগণের অংশগ্রহনই এই নির্বাচনকে সফল ও সার্থক করে দেয় । যতক্ষণ নির্বাচন জনগণের অংশ্রগ্রহণে হবে ততক্ষণ সেই নির্বাচনকে বানচাল করার সুযোগ নেই । এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশে এই নির্বাচন বয়কট করার রাজনীতি আর চলবে না । এটা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে । বাংলাদেশের মানুষ এখন উন্নয়ন চায়। বাংলাদেশের মানুষ এই অপশক্তি চিরতরে বিলীন হয়ে গেছে সেটা দেখতে চাই । কারণ এই বিএনপি এবং জামায়াত তারা শুধু নির্বাচনে বাধাগ্রস্ত করেই ক্ষান্ত হয়নি এরা পেট্রোল ঢেলে দিয়ে বাসে,ট্রাকে রেলে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে । এই দল এই জোট এখন এদেশের মানুষের কাছে একটা সন্ত্রাসী জঙ্গি দল । এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিবেচিত হতে পারেনা। সন্ত্রাস করে এদেশে কোন কিছু অর্জন করা যায়না । সকল অপশক্তিকে চিরতরে বিদায় দিয়ে এই বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নিয়ে যাবো।