বিদেশি প্রভুদের সাথে মিলিত হয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল-কাদের।
কেউ কেউ বিদেশি প্রভুদের সাথে মিলিত হয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল।এদেশের সকল সংকটের সময়ই প্রতিবেশি দেশ ভারত সব সময় বন্ধুর মত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।কোনো চক্রান্তই দু’দেশের সুস্পর্ক নষ্ট করতে পারবে না।
আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে কিছু কিছু অপজিশন তারা কোন কোন বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে মিলিত হয়ে আমাদের এখানে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। নির্বাচনটাকে ভন্ডুল করতে চেয়েছিল। সে সময় ভারত আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছিল। সে কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে।
দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সংশয় আর অবিশ্বাস সৃষ্টি করতে চাইলেও সে চেষ্টা সফল হতে দেননি শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী। ভবিষ্যতেও ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে চিড় ধরার কোন কারণ দেখছি না। আমাদের নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারত যথাযথ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এটা একটা চ্যালেঞ্জ, পাঁচ বছরে ১ কোটি তরুণের কর্মসংস্থান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা, ডলার সংকট, রিজার্ভ সংকট, জ্বালানি সংকট আছে। এসব সংকটকে নিয়ন্ত্রণ করা, মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। তারা (বিএনপি) এখানে যদি সহিংসতা বা সহিংস কোনো কর্মসূচি দেয় কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তবে সেটার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে।
সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি এ পর্যন্ত যত স্বপ্ন দেখেছে, সবই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
বিরোধী দল কারা হবে এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এখানে তো বিরোধী দল বলতে জাতীয় পার্টিই সামনে আসে। তারা আগেও ছিল। তাদের অনেকে অভিজ্ঞ আছেন।
মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সমাধানে যাব। আমরা সংঘাতে যেতে চাই না।