বিএনপি কালো পতাকা মিছিলের নামে সহিংসতা,ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসের আভাস দিচ্ছে -কাদের
কালো পতাকার নামে আবারও সন্ত্রাস সহিংসতার জানান দিচ্ছে বিএনপি।এটি একটি ষড়যন্ত্র ,আরেক সন্ত্রাসের আভাস বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩/এ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হবে ৩০ জানুয়ারি ।বাংলাদেশের নতুন সংসদের উদ্বোধনী দিনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই, এই দিনটিকে যারা কালো পতাকা মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে, কর্মসূচি দিয়েছে, তাদের উচিৎ দলীয় নেতৃত্বের ব্যর্থতার জন্য বিএনপির দলীয় অফিস ও নেতাদের বাড়ি কালো কাপড়ে ঢেকে রাখা। তাদের কর্মীদের উচিৎ হবে কালো কাপড় দিয়ে বিএনপি নেতাদের আরও পাঁচ বছর মুড়িয়ে রাখা উচিৎ।
বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে জানতে চাই, আন্দোলন সংগ্রাম গণতান্ত্রিক অধিকার আমরা এর বিরুদ্ধে নই। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেয়ার কোন ইচ্ছেই আমাদের ছিল না। এই শহরে, পাশাপাশি অনেক সমাবেশ হয়েছে। আমরা কোন রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ,বিএনপির সঙ্গে কোন সংঘাতে লিপ্তে হয়নি। এ ধরনের কোন ঘটনা, কোন উদাহরণ তারা দেখাতে পারবে না।
তারপরও ২৮ অক্টোবর রক্তাক্ত ঘটনা ঘটে গেছে ।তাদের উস্কানিতে পুলিশকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা,সাংবাদিকদের উপরে হামলা। জাজেস চেম্বারে এবং হাসপাতালে হামলা এই কাজগুলো তারাই করেছে। তারাই সেদিন উস্কে দিয়েছে এবং উস্কানিতেই তাদের সভা পণ্ড হয়ে গেছে।তারা আমাদেরকে পালাবার পথ পাবেনা বলেছে কিন্তু সেদিন দেখা গেলো নয়াপল্টন থেকে সেই অপকর্ম করে তারা একে একে পালিয়ে যাচ্ছে। তারাই অলিগলি খুঁজে পাচ্ছিলো না কে কোথায় যাবে।
নির্বাচন হয়ে গেছে, আমরা ধৈর্য ধারণ করেছি, অনেক কিছু সহ্য করেছি,আক্রান্ত হয়েও আক্রমণ করিনি। কিন্তু দেশবাসী জনগণ বাংলাদেশের অভিন্ন স্বার্থে আমাদের সমর্থন দিয়েছে।
আমরা কোন অপশক্তিকে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে স্বার্বভৌমত্ব নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেবোনা। কাজেই এই অপশক্তিকে প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এ যাবৎ প্রমাণ করেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিশ্বস্ত দোসরদের ঠিকানা এই দল। বিএনপি এখনো সেই লিগ্যাসি বহন করে চলছে। যুদ্ধাপরাধীদের বংশধররা এখনো বিএনপির কমিটিতে আছে। বিএনপির জন্মই হচ্ছে পাকিস্তানিদের টাকায় এটা সবাই জানে। আজকে তারা নতুন নতুন মিথ্যা তথ্য হাজির করছে। এক এক বার একেকটা নিয়ে তারা অপপ্রচার করছে ।আজকে দেশের কারাগারগুলোতে তাদের সব মিলিয়ে ১০ হাজারের মতো বন্দী আছে। অথচ তারা আজকে জাতিসংঘ এবং মার্কিন কংগ্রেসদের কাছে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে তাদেরকে দিয়ে বলাচ্ছে যে বাংলাদেশে ২৫ হাজার বিএনপির নেতা-কর্মী জেলে আছে। তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে। এ ধরনের বক্তব্য আজকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা দিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে তাদের বিদেশি মুরব্বিদের তারা প্ররোচিত করছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত সরকারকে হটানোর জন্য নতুন নতুন দুরভিসন্ধি নিয়ে আজকে তারা বিভিন্নমুখী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে ভুল করেছে তার জন্য বিএনপিকেই পস্তাতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন,মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সায়েম খান, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল,কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি,ইসহাক আলী খান পান্না ,প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজউদ্দিন রিয়াজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।