মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান কোথায় ছিল-ওবায়দুল কাদের
পাকিস্তানি চর জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল কিনা সেটা জানতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩/এ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই,মুক্তিযুদ্ধের সময় মঈন খান ও তাদের লোকজন এবং তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো কি?সেটাই আজকে প্রশ্ন। বাংলাদেশের প্রথম সরকার তথা মুজিব নগর সরকারের অধিনে নিয়মিত বেতন ভাতা ভোগ করতো জিয়াউর রহমান। সেই সময় মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কাদের আরও বলেন, মঈন খানের দল বিএনপি ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে এবং তারপর ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা কান্ড,২১শে আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে হামলার মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার আল বদরদের মতোই দল।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি এদেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। বারবার ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন ভুলের অথৈ সাগরে পড়েছে। বিদেশিদের তাবেদারি করা বিএনপির জন্মগত স্বভাবে পরিণত হয়েছে। আগুন সন্ত্রাসীদের পক্ষে কেউ নেই। আজকে বিদেশি শক্তির মদদ পাবে বলে তারা যে আশায় প্রহর গুনেছে সে চেষ্টাও সফল হবে না। কারণ এই নির্বাচনকে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইউরোপ,এশিয়া অঞ্চল,আফ্রিকাসহ অনেক দেশ ।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃত করলে তার পরিণতি কারো জন্য শুভ হয়না। এমন বক্তব্য দেয়ার জন্য মঈন খানকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন,মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সায়েম খান, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল,কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি,ইসহাক আলী খান পান্না ,প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজউদ্দিন রিয়াজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।