টিআইবির প্রতিবেদন রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির ধারণা সূচক নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট। কোনো জোট বা দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে করা এসব অপবাদ সরকার পরোয়া করে না।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি’র কালো পতাকা কর্মসূচিকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় পাহারায় যাবে আওয়ামী লীগ। সহিংসতা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় বসে আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাজে মনোনিবেশ করছি। মন্ত্রণালয়গুলো ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। কাজ করতে গিয়ে জনস্বার্থবিরোধী কর্মসূচি সহ্য করা হবে না।
দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সব ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিহত করা হবে বলেও এ সময় জানান তিনি।
বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘের বিবৃতির বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা এই বিবৃতি দিয়েছে তারা ভুল রিপোর্ট, তথ্যের উপর এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হিসাবে ১০ হাজারের বেশি বন্দি জেলে নেই। কোন হিসাবে ২৫ হাজার বন্দি আছে? অপরাধ করলে বিচার করতে হবে। জামিনযোগ্য অপরাধ হলে জামিন পাচ্ছে। আইন তার নিজস্ব গঠিত চলবে। জাতিসংঘ এবং কংগ্রেসম্যানরা বিবৃতি দিয়েছেন তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করছি।
এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। সরকারি দল বলে কি নিয়ম মানবো না?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্রুটিমুক্ত গণতন্ত্র পৃথিবীর কোথাও এখন নেই। যারা নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, নতুন সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা কেউ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেননি। খোদ যুক্তরাষ্ট্রও বলেনি। অবাধ ও সুস্থ নির্বাচন নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া ছিল ওয়াশিংটনের। কিন্তু ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার কথা বলেছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজকে বিশ্ব পরিস্থিতিতে পৃথিবীর অর্থনীতির উপর চরম আঘাত এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিশ্ব সংকটের প্রতিক্রিয়ায় আমরা সমস্যার মধ্যে দিন অতিক্রম করছি। দ্রব্যমূল্য এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে নতুন সংসদ কঠিন দায়িত্ব পালন করবে। জনগণের সমস্যার সমাধানকে অগ্রাধিকার দেবে।
এ সময় মন্ত্রিসভার কলেবর বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন শেষ হলে সেখান থেকেও কিছু যুক্ত হতে পারেন। আবার প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা পোষণ করলে বৃদ্ধি করতে পারেন।
এমআর