পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা বিএনপি-কাদের

এখন বিএনপি উপলব্ধি করছে,তারা নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে। বিএনপি এখন কিছুই করতে পারছে না, তারা এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন,বিএনপি এখন নিজেরাই ডামি দল, বিএনপির বক্তব্যে দেশের মানুষের কোন আগ্রহ নেই,আমাদেরও কোন আগ্রহ নেই। ওরা এখন মহা ভুল করেছে,করে বিএনপির মাথাখারাপ।
কাদের আরও বলেন, আজকে তাদের (বিএনপি) দেশি-বিদেশি যারা স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের বন্ধু রাষ্ট্রে এবং তাদের নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি যে তারা বিভিন্নভাবে একটা দেশকে,দেশের ক্ষমতাসীনদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছে। নিষেধাজ্ঞা, ভীসানীতির মতো আমরা বারবার দেখেছি। সর্বশেষ মিয়া আরেফিকে নিয়ে যা হল তাদের অফিসে বাইডেনের উপদেষ্টা বলে একজনের সাজিয়ে আমাদেরকে ভয় দেখানো। যে অপকৌশলের আশ্রয় তারা নিয়েছিলো সবই তো ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এসব কালো।পতাকা,কালো ব্যজ এসবের প্রতি জনগণের কোন সমর্থন নেই।
যুক্তরাষ্ট্র আবার অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয়নি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো দেখলাম নির্বাচনের পরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎও করেছেন। সবশেষে গতকাল সংসদের অধিবেশন চলাকালীন সময়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সংসদে উপস্থিত ছিলেন। আমাদের সংসদের প্রথম অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছি।
কাদের আরও বলেন, আমাদের ইলেকশনে অবাধ,সুষ্ঠু এই টার্মটার নানা রকম অর্থ আছে। ম্যাথিউ-মুলারের রোমও শব্দের অর্থ আছে। তো এখানে আমাদের ইলেকশটা একেবারেই ত্রুটিপূর্ণ এরকম কোন মন্তব্য করেননি এবং একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। কাজেই এটা নিয়ে আমরা এখন আর কোন কথা বলতে চায়না।
গতকাল বিএনপির শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিলে বাধা দেয়া,সরকার মারমুখী অবস্থান ছিল এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কালো পতাকা মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি নেয়নি, অনুমতি ছাড়া করতে গেছে। সেটাও অবৈধ,অনিয়ম। কাজেই আপনি যখন তখন কর্মসূচি নেবেন ফ্রি স্টাইল এটা হতে পারেনা।
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের অবস্থান কি জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন এখানে সর্বমোট ৫০ জন। ৫০ এর মধ্যে আওয়ামী যে সদস্য সংখ্যা এবং স্বতন্ত্রদের পক্ষ থেকেও আমাদের নেত্রী সংসদ নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মহিলা সংরক্ষিত আসনের ব্যাপারে।মনোনয়ন চাওয়া এবং মনোনয়ন ফরম দেয়ার ব্যাপারে সংখ্যা ৫০ এর নিচে।এটা অবশ্যই আমরা আমাদের পরিক্ষীতদেরকে গুরুত্ব দেবো। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। যারা আমাদের দু:সময়ে পরিক্ষীত কর্মী তাদের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
নারী সংরক্ষিত আসনে দলগতভাবে ৩৮ আর স্বতন্ত্র ১০ জন। মোট ৪৮ জন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল,কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি,ইসহাক আলী খান পান্নাসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।