বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

গাজায় বাড়ছে লাশের সারি, নিহত ২৭ হাজার ছুঁইছুঁই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ১৮৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
ফাইল ছবি

গাজায় লাশের সারি বাড়ছেই। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালে তীব্র হামলা চালিয়েছে।

গাজায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থার পরিচালক টমাস হোয়াইট বলেছেন, আমরা একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং প্রধান আশ্রয়কেন্দ্র হারিয়েছি। খান ইউনিসের বহু মানুষ ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে লোকজন পালাতে বাধ্য হচ্ছে।

এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অস্থায়ী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবিও বলেছেন যে, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে গঠনমূলক।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় চার মাস ধরে সেখানে সংঘাত চলছেই।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৫ হাজার ৯৪৯ জন। গাজায় হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে লোহিত সাগারে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। সেখানে এই হামলা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানিয়েছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। তবে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে, যার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে।

হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আগ্রাসনে অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধ জাহাজ তাদের মূল লক্ষ্যবস্তু।

ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীটির ওপর এখন পর্যন্ত অন্তত নয়বার হামলা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এতে বৈশ্বিক শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। কাজে আসছে না মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সও। হুথি বিদ্রোহীদের দাবি, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা চালানো হবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্য সংঘাত শুরুর পরই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী। যদিও এসব হামলার অধিকাংশই ভূ-পাতিত করা হয়েছে। কিন্তু জর্ডানে সবশেষ হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩৪ জন আহত হয়েছেন।

সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বাহিনী লক্ষ্য করে অব্যাহত হামলার জন্য বাইডেন শুরু থেকেই ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলেকে দায়ী করছেন। ইরান তাদের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। এই গোষ্ঠীগুলো ড্রোন ও রকেট দিয়ে হামলা পরিচালনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত আটবার প্রতিশোধমূলক হামলা করেছে। বেশি হামলা করা হয় ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে।

এমআর


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর