জর্জ মিয়া নাটকের পর মিয়া আরেফির নাটকও বাংলাদেশ দেখলো-কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জর্জ মিয়া নাটকের পরে মিয়া আরিফি নাটকের নাটকও বাংলাদেশে আমরা দেখলাম ৷ ইংরেজিতে কথা বলছে বাইডেনের উপদেষ্টা। পরে পুলিশের মার খেয়ে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।
আজ শুক্রবার (২ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির জর্জ মিয়া নাটকের মতো এইসব নাটক তো অনেক দেখছি।এখন আর কি দেখবো ? তারা যেটাই করুক জনগণ আন্দোলন চায়না। তারা নির্বাচন বয়কট করার পরেও ৪১.৮ ভাগ জনগণ ভোট দিয়েছে।এবং তারা বয়কট করার পরেও ২৮ টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনের পর এই নির্বাচনকে সারা দুনিয়া থেকে অভিনন্দিত করেছে ।আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্বের বহু দেশ, আফ্রিকা,ল্যাটিন আমেরিকা এবং বিভিন্ন সংস্থা। একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। আমেরিকা অবশ্য একদিকে তাদের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে একধরনের কথা বলেছে তবে তারা এটা বলেনি যে সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। তবে তাদের রাষ্ট্রদূত এই নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে একসাথে কাজ করার কমিটমেন্ট করেছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে। এবং এই সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিতি অনেক কিছু বলে দেয়। কাজেই আমরা এখন আর এই নির্বাচনের পর বিএনপির যে পতিক্রিয়া কি বলবে,কি করবে এই নিয়ে বিচলিত না।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন একটা বিষয় নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। বিশ্বব্যাপী যে অস্থিরতা চলছে সেই অস্থিরতা রেশ বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের যে অস্থিরতা নিয়ে আমরা এখন উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব যেটা সেটা আমরা পালন করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি এখন দিনরাত এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। দেশের মানুষকে যে অঙ্গীকার তিনি করেছেন, বিশেষ করে নির্বাচনী ইশতেহার যে বক্তব্য জনগণের প্রতি ছিল সেই নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি অবিরাম মাথা ঘামাচ্ছেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে ডেকে পরামর্শ, পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়ে সবাইকে অনুরোধ করেছেন এবং কথা বেশি না বলে কাজে বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অস্থিরতার রেশ তো আছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি নিয়ে আমরা চিন্তিত।
তিনি আরও বলেন, গতকাল দেখলাম রেমিট্যান্স বেড়ে গেছে আবার রিজার্ভ একটু কমেছে। এই উঠানামা এগুলো চলবেই। তারপরেও আমাদের কৃষি, আমাদের খাদ্য সেখানে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছে এবং এটা আমাদের একটা ভালো দিক । আমাদের এতো অস্থিরতার মধ্যে আমাদের জনগণের মধ্যে কোথাও এর রেশ,ক্ষোভ লক্ষ্য করিনি। স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে সবাই।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের (বিএনপির) লোক দেশে আছেন,বিদেশে আছে,আন্দোলনেও তারা ব্যর্থ। বিদেশি বন্ধুদের কাছেও মুখ রক্ষার যেমন বিষয় আছে তেমনি দেশে যে কর্মীদেরকে ক্ষমতার প্রলোভন দেখিয়ে তারা মাঠে নামিয়েছে। জেলায় জেলায় গিয়ে পিকনিক পার্টি করেছে। লোটা,বালিশ কম্বল,খিচুড়ি এসব নিয়ে। তারপর পুলিশের উপর হামলা করে পিটিয়ে মারলো। এমনকি সাংবাদিকরাও রেহাই পায়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ,উপ-দপ্তর সায়েম খান,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্না, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।