বিএনপির শেষ ভরসাও নাই,কোন আশায় বসে থাকবে-কাদের
এখন বিএনপি কি বলবে? কোন আশায় বসে থাকবে। দেশের জনগণ নেই,বিদেশি বন্ধুরাও বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে যুক্তরাষ্ট্রের উপর তাদের (বিএনপির) সবচেয়ে বেশি ভরসা ছিল, সেই যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ছেড়ে চলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের সাথে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এই অবস্থায় বিএনপির এখন সরকার হঠানোর অথবা সরকারে যাওয়ার উপায় কি? বিএনপি এখন রোজ রোজ যেসব কথা বলে,নেতারা তো অনেকেই পালিয়ে আছে, অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে, অনেকেই প্রকাশ্যে আসেনা এ রকম আমরা দেখতে পারছি। এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়?
কাদের আরও বলেন, আজকে বিশ্ব গ্লোবাল ভিলেজ, অংশীদারত্ব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজকে যে অর্থনৈতিক মন্দা এই অর্থনৈতিক সংকটে আমরা বিচ্ছিন্ন দীপের মতো অবস্থান করা কারো পক্ষেই সম্ভব না। সেই বিচারে আজকে বাংলাদেশে যারা নির্বাচনে বিরোধীতা করেছিলো, বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছিলো এই নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা, আগুন সন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম,সন্ত্রাসী তৎপরতা তারা নির্বাচন পর্যন্ত চালিয়েছে। কিন্তু কোন সুফল আসেনি। এরপর তারা আশা করেছে যে অন্তত পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো নিষেধাজ্ঞা আসবে, হয়তো বা ভিসানীতি আসবে। এসব স্বপ্ন দেখতে দেখতে দিন গড়ায় রাত গড়ায় এবং স্বপ্নও যায়, মাসও প্রায়ই গড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটা লম্বা চিঠি পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য, রিজিওনাল সিকিউরিটি, জলবায়ু পরিবর্তন , উন্নয়ন, মূলত অর্থনীতির উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। পিটার হাসও মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পশ্চিমা বিশ্ব, এশিয়া,আফ্রিকা,ল্যাটিন আমেরিকা অনেক দেশ শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে।তার নেতৃত্বের প্রশংসার পাশাপাশি একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের জনগণ আপনাদের থেকে ইতোমধ্যে সরে গেছে।বিএনপিসহ সমমনারা ইলেকশন না করার পরও বাংলাদেশের ৪১.৮ শতাংশ মানুষ তারা ভোট দিয়েছে। এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। ২৮ টি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সংসদ বসে গেছে। সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই স্টান্ডিং কমিটি পর্যন্ত হয়ে গেছে। এটাও একটা রেকর্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো স্টান্ডিং কমিটি তিনি নিজের হাতে করেছেন। সে খবর আজকে আমেরিকার কাছে আছে। তারপর কার্যকরী উপদেষ্টা হয়ে গেছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে আগামীকাল থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হবে। যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা আগামীকাল ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, সংসদীয় কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্টের ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাব শুরু।এ অংশে সংসদ সদস্যরা সবাই বক্তৃতা করার সুযোগ পাবে। পুরোপুরি সংসদীয় গণতন্ত্রের যে পক্রিয়া সেটা শুরু হয়েছে। এখানে আমাদের বিরোধী দল নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পার্টি। বিরোধী দলের ভূমিকায় আছে। তারা তাদের লিডার অফ দি, চীফ রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।