বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জরিমানার মাধ্যমে ৭৭৫ কোটি ২৪ হাজার ৮০৭ টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে  আসাদুজ্জামান খান জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার পক্ষে প্রশ্নের জবাব দেন। এর আগে বিকাল পৌনে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে এক লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে।

নোয়াখালী-৩ আসনের মো: মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবি ২০২৩ সালের জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৯৯৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭২৯ টাকার অন্যান্য অবৈধ চোরাচালানী পণ্য এবং বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করেছে।  এসময়ে দুই হাজার ৮১৭ জন আসামীর বিরুদ্ধে ৩৮ হাজার ৬৯২টি মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকবিরোধী মনোভাব পড়ে তুলতে ২০২৩ সালে মাদকবিরোধী স্লোগান সংবলিত ৭৮ হাজার ৫৩টি জ্যামিতি বক্স, ৩৫ হাজার ৭১৬টি খাতা, ৬৪ হাজার ১৫১টি কলম, ৬৮ হাজার ৭৬৮টি স্কেল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করতে ২৬ হাজার ১৬৬টি স্টিকার, ৪ হাজার ২৮৩টি ফেস্টুন, ৪ লাখ ২০ হাজার ৪৬৪টি লিফলেট, ৫ হাজার ৯২টি পোস্টার, ৪৭৮টি অ্যাম্বুস পোস্টার, ৭ হাজার ৯৫০টি এক্রেলিক পিভিসি বোর্ড, ৩৪২টি ডিসপ্লে স্ট্যান্ড, ৬ হাজার নোটবুক, ৮ হাজার ফোল্ডার, ১৩০টি লেদার ওয়ালেট, ২০ হাজার ৭০টি টি-শার্ট, ৪ হাজার ৫২৯টি ছাতা, ৫ হাজার ৪৫২টি ব্যাগ, এক হাজার ৬৫৮টি টিস্যু বক্স, এক হাজার ২২৭টি ক্যাপ, ৪ হাজার ৮৩৬টি মগ, এক হাজার বুকলেট ও দুই হাজার ডেস্ক ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয়েছে।