সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হক্যা মামলার তদন্তের সময়ে বেঁধে দেওয়া সম্ভব না বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। মামলাটি কঠিন উল্লেখ করে তদন্তকারী সংস্থা সঠিকভাবে তদন্ত করে এ মামলার সুরাহা করবেন বলেও তিনি দাবি করেন।
আইনমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
এর আগে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ তাঁর সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার এক যুগ পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন বের হয়নি। আমি বুঝি পুলিশ পারে না এমন কোন কাজ নেই। একটা মামলার তদন্ত করতে কত বছর লাগবে? সাহারা খাতুন বলেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন ৪৮ ঘণ্টার জায়গায় ৪৮ মাস গিয়ে ৪৮ বছর লাগতে পারে। ২০২৪ সালের মধ্যে সাগর-রুনি হত্যা মামলার চার্জশিট থানায় পৌঁছাবে কিনা জানতে চাই।
জবাবে আইন মন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাকে আমি সাধুবাদ জানাই। একটা জিনিস আমাদের লক্ষ্য করতে হবে যারা তদন্ত করে তারা যতক্ষণ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ইয়ে (রহস্য) উদঘাটন না করতে পারেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত শেষ করা সমীচীন হয় না। সময় তদন্ত করতে লাগে যদি, তদন্ত করতে খুব গভীরে যেতে হয় না, সহজে অভিযোগকারী ও অপরাধকারীদের ধরা যায়, তাহলে সেটা তাড়াতাড়ি করা যায়।
আনিসুল হক বলেন, যে মামলাটার (সাগর-রুনি) কথা উনি (হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ) বলছেন সেটা তদন্ত করতে একটু কঠিন। আমি এইটুকু বলতে পারি অবশ্যই তদন্তকারী সংস্থা সঠিকভাবে তদন্ত করে এ মামলার সুরাহা করবে। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই ধরা হবে। তবে আমি এ মামলার সময় বেধে দিতে চাই না। আমি আইনজীবী জানি এটার সময় বেঁধে দেওয়া সম্ভব না।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়।