জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার ও বনায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
দেশের বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জবরদখলকৃত বনভূমি উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ সব কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এলাকায় বনভূমি রয়েছে। বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দেশের বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জবরদখলকৃত বনভূমি উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বনভূমি জবরদখলের বিপরীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং এযাবৎ জেলা প্রশাসনে প্রেরিত উচ্ছেদ প্রস্তাব সাত হাজার ৩৭৬ টি, জেলা প্রশাসন কর্তৃক রুজুকৃত উচ্ছেদ মামলা ১৩ টি, নিম্ন আদালতে দেওয়ানী মামলা ৮৫২ টি, উচ্চ আদালতে রীট মামলা ১২২ টি, উচ্চ আদালতে আপীল/মিস মামলা ৮৭ টি, পিওআর মামলা সাত হাজার ৫৩২ টি ও অন্যান্য ব্যবস্থায় ছয় হাজার ১৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বন অধিদপ্তরের নিজস্ব উদ্যোগে ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ডিসেম্বর/২০২৩ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪৭৪ দশমিক শূণ্য ৭ একর জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধারপূর্বক বনায়ন করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরে মোট আট হাজার ২০০ একর জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার করতঃ বনায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের এসডিজি এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) বাস্তবায়নে বন অধিদপ্তর কর্তৃক দেশব্যাপী বনাচ্ছাদন ও বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ২০২৫ সালের মধ্যে যথাক্রমে ১৫ দশমিক ২ এবং ২৪ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ পরিকল্পনার আওতায় শালবনের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে সাত হাজার ২২০ হেক্টর সমতলভূমি এবং এক লাখ ৩০ হাজার ৫৮০ হেক্টর পাহাড়ী অবক্ষয়িত বনভূমিতে বনায়ন; ৫০০ হেক্টর আগর বাগান; ১৫ হাজার কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে অংশীদারিত্বমূলক বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া বনায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৪৯৮ দশমিক ৫ হেক্টর ব্লক ও এক হাজার ৭০১ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান এবং নয় হাজার ৪০৫ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন করা হয়েছে।