মায়ানমারের ব্যাপারে জাতিসংঘের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে-কাদের
আমরা নেতিবাচক কথা বলতে চাইনা, ইতিবাচক কথা বলবো। জাতিসংঘ আছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা আমরা করবো। সবারই একটা ফোরাম আছে, সেই ফোরামে আমাদের উদ্বেগের কথা জানাবো। জাতিসংঘেরও একটা ভূমিকা আছে। জাতিসংঘের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
আজ মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি দেখতে আসার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার গণভবনে আওয়ামী সকল জেলা,উপজেলা,মহানগর, সভাপতি সাধারণ, সিটি করপোরেশনের মেয়র, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা কমিটি, এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এদের সমন্বয়ে বিশেষ বর্ধিত সভায় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাদের আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছে এই ব্যাপারটা উদ্বেগ সৃষ্টি করছে এই বিষয়ে দলীয়ভাবে এবং সরকারিভাবে অবস্থান কি জানতে চাইলে বলেন,বিষয়টা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এটা এমন নয় বাংলাদেশ-মায়ানমার যুদ্ধ চলছে। এখন যুদ্ধে তাদের অভ্যন্তরীণ কর্মসূচিকে তাদের সীমানা পর্যন্ত গড়াচ্ছে। এবং সীমান্ত থেকে ছিটকে পড়ছে মটারে শেল, গোলা। এতে আমাদের দুজন নাগরিক নিহত হয়েছে। মায়ানমারের ১০৪ জনের মতো সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। আমি যতটুকু জানি আমাদের ফরেনমিনিস্ট্রি মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠাতে পারে। এবং এ ব্যাপারে আমাদের কনসার্ণ আমরা জানাবো এবং তাদের বক্তব্য শুনবে আমাদের ফরেন অফিসের কর্মকর্তারা।
এর আগেও রাখাইন রাজ্যে এবং বাংলাদেশের সাথে লাগোয়া রাজ্যেই উত্তেজনা হয় এটা কি শুধুই তাদের ইন্টারনাল ক্লাশ নাকি ইন্টারন্যাশনাল কোন চক্রান্ত চলছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার মনে হয়না এটা সেন্টমার্টিন, বঙ্গোপসাগর নিয়ে কারো ভূ রাজনৈতিক খেলা থাকলেও এটার সাথে সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করছি না। আমরা মনে করছি মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাদের ৫৪টির মতো এথনিক কমিউনিটি আছে। এই কমিউনিটিগুলো বিভিন্ন জায়গা দখলে নিয়েছে এবং সেনাবাহিনীর সাথে তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ।আমাদের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। আমাদের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে যে সমস্যা সেটা আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের প্রয়াস চলছে। তাদের সাথে যুদ্ধের কোন কারণ হয়নি। আমরা মায়ানমার শুধু নয় কারো সাথেই যুদ্ধে জড়াতে চাইনা। আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আগে আমাদের কনসার্ণ জানাবো, তাদের কথা শুনবো। যে কোন সমস্যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবো।
তিনদিনব্যাপী সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলবে,মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হচ্ছে, আশাকরছি যে নির্বাচন কমিশন এরমধ্যে নির্বাচন শিডিউল ঘোষণা করবে তারপর আমরা আমাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মনোনয়ন বোর্ড বসবে প্রার্থীতা চূড়ান্ত করবে ৪৮ জনের।
১০ ফেব্রুয়ারি যে বৈঠক সেই নির্দেশনা দিবেন কিনা প্রধানমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক কিছু নির্দেশনা দিবেন।
প্রতীক থাকছে কি থাকছে ওয়ার্কিং কমিটির সেখানে যারা উপস্থিত থাকবে তাদের মতামত গ্রহণ করা হবে।
গতবার ১৪০০+ এবারো দেখছি গত দুই ঘন্টায় অনেক মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৪৮ টি আসনের বিপক্ষে, সেক্ষেত্রে কোন বিপদ হয়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অনেকেই প্রার্থী হতে চায়। সেখানে আমরা অনেকের মধ্যে একজনকে বেছে নিই। আমাদের কিছু প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য আছে তাছাড়া আমাদেরও কিছু রিপোর্ট আছে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট আছে। এই রিপোর্টগুলো যখন বোর্ড মিটিং বসে তখন বিবেচনা করে। আমরা নিজেরাও অনেকের সম্পর্কে জানি বিশেষ করে আমাদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা উনি ব্যক্তিগতভাবে সারা বাংলাদশে যারা সত্যিকার অর্থে যারা ত্যাগি, পরিশ্রমী নির্যাতিত তাদের ব্যাপারে উনি খোঁজ খবর রাখেন। এমনও বলতে পারি উনি একটা নির্বাচন হয়ে যাবে এরপরে উনি কোন জেলা।সফরে গেছেন সেখানে হয়তো কোন একটা মেয়েকে তার নজরে এসেছে এবং তার খোঁজ খবর নিয়ে তিনি ঐ নামটা ডায়েরিতে লিখে রাখেন। এ ধরনের নামও কিন্তু এবার মনোনয়ন পাবে। উনি নিজে জেলায় গিয়ে কাওকে যোগ্য মনে করলে তার ত্যাগ পরিশ্রম সব কিছু মিলে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট নামটা লিখে রাখেন এবং সময়মতো কাজে লাগান। এবং এই কাজটা নির্বাচনের পরের দিন থেকে শুরু হয়ে গেছে।
মৌলিক একটা সিদ্ধান্ত, কাজেই এ ব্যাপারে সবার মতামত নিয়েই নেত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান,সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজউদ্দিন রিয়াজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।