আমরা ধৈর্য ধরব কিন্তু কতোটুকু: মিয়ানমার ইস্যুতে সংসদে চুন্নু
মিয়ানমারের সংঘাত ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। সরকারের ধৈয্য ধরার প্রসঙ্গ তুলে চুন্নু বলেন, আমরা ধৈর্য ধরব ঠিক আছে কিন্তু ধৈর্য আমরা কতোটুকু ধরব। আমরা যদি কার্যকর কোন কূটনৈতিক কোন পদক্ষেপ ইমিডিয়েট না নেই তাহলে আমাদের জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে যাবে।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
মুজিবুল হক বলেন, মিয়ানমারে সংঘাত চলছে। আমাদের এরকমই অবস্থা যে ওখান থেকে গুলি এসে আমাদের দুইজন কিন্তু মারা গেছে। ২৬৪ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশের মধ্যে ঢুকতে বাধ্য হয়েছে। তারা সারেন্ডার করেছে, তারা আমাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে আছে। প্রশ্ন হলো আরাকানদের সাথে যুদ্ধটা যেভাবে শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এটি অনেক লম্বা হবে। যদি তাই হয় তাহলে আমরা যে ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে তাদেরকে ব্যাক করানোর বিষয়টি অনেকটা অনিশ্চিত অবস্থায় চলে আসছে।
সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী উপস্থিত নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ একটা উদ্বেগের মধ্যে আছে। কারণ এখানে যুদ্ধের যে অবস্থা… আমরা ধৈর্য ধরব ঠিক আছে কিন্তু ধৈর্য আমরা কতোটুকু ধরব এবং আমরা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার মনে হয় ধৈর্য তো ধরবই কিন্তু আমরা যদি কার্যকর কোন কূটনৈতিক কোন পদক্ষেপ ইমিডিয়েট না নেই তাহলে আমাদের জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে যাবে। কারণ যেভাবে সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে দেখা যাবে এভাবে লোক আসবে যে আমরা পুশব্যাক করেও পারব না, অবস্থাটা এরকম হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই তাহলে এই সমস্যাটা প্রকট আকার ধারন করবে। জাতি বা দেশের মানুষ একটা উদ্বেগের মধ্যে আছে। যেহেতু সংসদ জাতির সকল কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্র এবং যেহেতু আমরা প্রজাতন্ত্রের মালিকের পক্ষে আমরা প্রতিনিধি। এখানে দেশের মানুষের জানার অধিকার আছে যে কিভাবে আমরা এটি মোকাবেলা করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব বর্ডারের যে অবস্থাটা তার উপর সার্বিক একটি ব্যাখ্যা ৩০০ বিধিতে জাতিকে যাতে অবহিত করেন সেই দাবি জানাচ্ছি।