টাইগার, স্পিডসহ এনার্জি ড্রিংকস নামে বাজারে বিক্রিত পানীয় বাজারজাতকরণ মনিটরিং করা হচ্ছে
টাইগার, স্পিড, গুরু ইত্যাদি ড্রিংকস বিএসটিআইয়ের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাজারজাত করছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজির মাহমুদ হূমায়ুন। বাংলাদেশে উৎপাদিত বেভারেজ জাতীয় পণ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে নুরুন্নবী চৌধুরী তার প্রশ্নে শক্তিসঞ্চারের নামে এনার্জি ড্রিংকস মানবদেহে ভয়ঙ্কর রোগের বাহক ঢুকাচ্ছে, অনেকগুলি ব্র্যান্ডে মিলছে মাদকের উপাদান; বিএসটিআই-এর ভুয়া লাইসেন্সে ২৭ ব্র্যান্ড বিক্রি হচ্ছে; মেশানো হচ্ছে যৌন উত্তেজক ভায়াগ্রার উপাদান, কর ফাঁকি দিয়ে এনার্জি ড্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয়। বিষয়টি সত্য কী না তা জানতে চান। সত্য হলে এর বিুরদ্ধে বিএসটিআই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কী না তা জানতে চান।
জবাবে শিল্পমন্ত্রী ব্যবস্থা করবে বলে জানান। বিস্তারিত জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ পর্যন্ত ২৭৩টি পণ্যকে বিএসটিআইয়ের আওতাভুক্ত করেছে। এনার্জি ড্রিংকস দেশের বাধ্যতামুলক পণ্যের আওতাভুক্ত নয়। তবে দেশে উৎপাদিত টাইগার, স্পিড, গুরু ইত্যাদি নামে যেসকল ড্রিংকস বাজারজাত করা হচ্ছেসেগুলো বিএসটিআই থেকে কার্বোনেটেড বেভারেজ হিসেবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লাইসেন্স গ্রহণ করেছে। বিগত একবছরে সার্ভিলেন্সের মাধ্যমে বাজারে প্রচলিত এ সকল ২৩৭টি নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মান অনুযায়ী সকল নমুনাই কৃতকার্য হয়েছে।
মন্ত্রী আরো জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে বেভারেজ জাতীয় পণ্যের (স্পিড, রয়েল টাইগার, ব্লাক হর্স, বুলডোজার, পাওয়ার, হাহু, পুরু, গিয়ার, স্ট্রং এবং রেডবুল) নমুনা পরীক্ষা করে নেশাজাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে এনার্জি ড্রিংকস নামে বাজারে বিক্রিত পানীয়তে নেশা জাতীয় দ্রব্যের মিশ্রণ ও বাজারজাত রোধে মনিটরিং করা হচ্ছে।