‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের দাবি: ফেরদৌস আহমেদ
সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক পণ্য বন্ধের দাবি করছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্র নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয় উল্লেখ করে ফেরদৌস বলেন, ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক পণ্য বন্ধ করতে না পারলে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষা করা চ্যালেঞ্জ দাঁড়াবে।
রবিবার জাতীয় সংসদে ৭১ বিধির জরুরী জন-গুরুত্বসম্পন্ন নোটিশে তিনি এ দাবি করেন।
নোটিশে ফেরদৌস বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে আমরা প্রতিদিন অতিমাত্রায় প্লাস্টিক নির্ভর হয়ে পড়ছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক ব্যবহারের পর আমরা যত্রতত্র ফেলে দেই। নির্বাচনী প্রচারসহ অন্যান্য অনেক বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার জন্য এখন প্লাস্টিকে মোড়ানো পোস্টার ও লিফলেটের ব্যবহার রেড়েছে বহুগুণ। প্রয়োজন শেষে ফেলে দেয়া এ সকল প্লাস্টিক বছরের পর বছর মাটির নিচে থাকলেও পঁচে না। এ ধরনের ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মাথা ব্যাথার কারণ। বর্তমানে প্রচারের জন্য ব্যবহৃত ছাপানো কাগজকে কুয়াশা ও বৃষ্টির পানি থেকে অক্ষত রাখতে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে লেমিনেশন করে তা প্রদর্শনের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা গেছে। প্রয়োজন ফুরালে এসকল প্লাস্টিকের শেষ ঠিকানা হবে রাজধানীর ড্রেন ও নালা-নর্দমা। এতে একদিকে বাড়বে জলাবন্ধতা, অন্যদিকে দেখা দিবে পরিবেশের ভয়ংকর ক্ষতি।
জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এ ধরনের একটি প্রস্তাব আনার জন্য নায়ক ফেরদৌসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক ঢাকা শহরকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
মন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। ঢাকা শহরে হচ্ছে প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক। আমরা আগামী দুই বছরে এর ৯০ শতাংশ কমাতে চাই। পর্যায়ক্রমে আমরা এর উৎপাদন ও বিতরণ বন্ধ করতে চাই। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদর সকলের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন দরকার। বিকল্প থাকা সত্ত্বেও আমরা সহজলভ্য হওয়ায় সিঙ্গেল ইউজস প্লাস্টিক গ্রহণ করছি।
মন্ত্রী তার বক্তব্যকালে সংসদে সিঙ্গেল ইউজস প্লাস্টিক বন্ধের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, এটা সম্ভব হলে দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হবে।
তিনি বলেন, ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক বন্ধের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। আমরা ১০০দিনের যে কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করেছি- সেখানেও দূষণের বিষয়টি নিয়ে আসছি। আমরা এসব পণ্য তৈরির সাথে সম্পৃক্তদের ওপর দায় দিতে চাই। এজন্য আমরা বিধি তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছি।