বিএনপির কারাবন্দি নেতা-কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত চেয়ে রিট
গত কয়েক মাসে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে আটক করা হয়েছে।বন্দী অবস্থায় কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়ে বিএপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত তিন মাসে কারা নির্যাতনে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
রিজভী বলেন, অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে গত ৭ জানুয়ারি বিরোধী দলহীন ডামি নির্বাচন নির্বিঘ্ন করার জন্য গুম-খুন-গায়েবি মামলা, হুলিয়া, গ্রেফতার-হয়রানি, নিপীড়ন, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, বাড়িঘর ভাঙচুরের যে ভয়াবহতা চলছিল, তা এখনও অব্যাহত রেখেছে সরকার। অরাজকতা, নৈরাজ্য আর বিশৃঙ্খলার বৃত্তে মানুষকে বন্দি করা হয়েছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, দেশের কারাগারগুলো ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি ঠাসা বিএনপি নেতাকর্মীতে। কারা সেলগুলো শ্বাসরুদ্ধকর ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে। অতি উৎসাহী কর্মকর্তারা মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি কারাগারে কারাবিধির সব সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে বন্দি নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে বীভৎস নিপীড়ন। খাওয়ার কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী-ক্যাডারদের কারা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। তারা প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। কারা হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের কারও না কারও মৃত্যুর সংবাদ আসছে প্রায়ই। গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতন করে বিএনপির ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে কারা হেফাজতে। প্রতিটি মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।