বিড়াল প্রথম রাতেই মারুন: গণপূর্ত মন্ত্রীকে জাপার চুন্নু
রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করলে আইন লঙ্ঘন করে তাকে বাঁচানো হয় বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। মুজিবুল হক চুন্নু একটি জাতীয় দৈনিকের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংসদে পাঠ করে শোনান। যেখানে বলা হয়েছে বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানের দুটো কাজের একই অনিয়মে দুই কর্মকর্তাকে আলাদা আলাদা শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিষয়টি সংসদে তুলে ধরে মুজিবুল হক বলেন, কাকে লঘু দণ্ড দিয়েছে সেটা বড় কথা না। এখানে কত বড় অনিয়ম করা হয়েছে সেটা। টাকা বাজেয়াপ্ত না করে সমন্বয় করা আইনের চরম লঙ্ঘন। একজন কর্মকর্তাকে বাঁচানোর জন্য টাকাটা বাজেয়াপ্ত না করে সমস্ত আইন-কানুন লঙ্ঘন করে ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না। একজন সরকারি কর্মকর্তা ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দিল, তাকে বাঁচানোর জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালার (পিপিআর) চরমলঙ্গন করে তাকে বাঁচানো হল।
তিনি বলেন, নতুন পূর্ত মন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এটা কনফার্ম দুর্নীতি। ওনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো, একজন সচিব কি করে এতবড় দুর্নীতিকে উপেক্ষা করে, মন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া এ কাজটা করেছেন। তিনি একটি ঘটনায় বেতন এক গ্রেড কমিয়েছেন, আরেক ঘটনায় প্রকৌশলীকে পদাবনতি করেছেন। এ খাতিরটা কেন? এ সরকারের আমলে এত বড় অন্যায় কাজ করে পার পেয়ে যাবে? আমরা এটা চেয়ে চেয়ে দেখবো, তা কি হয়? তাই মন্ত্রীকে বলবো বিড়াল প্রথম রাতেই মারেন। এখনই ব্যবস্থা নেন।