ভাষা শহিদদের স্মরণে জিপনের বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার নির্দেশনা: টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী
মহান ভাষা শহিদদের স্মরণে বিটিসিএল এর ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ জিপন এর জন্য বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ তৈরি ও তা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভা শুরুর প্রাক্কালে ভাষা শহীদদের স্মরণে বিশেষ জিপন প্যাকেজ বাস্তবায়নের এই নির্দেশনা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, এডিপি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় ইনডেক্সে ডাক ও টেলিযোাগাযোগ বিভাগকে নাম্বার্ ওয়ান হিসেবে দেখতে চাই। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে অর্থ বছরের প্রথম দিন থেকে আমাদের ইনডেক্সের উপরে থাকতে হবে। জাতীয় বাস্তবায়ন অগ্রগতি থেকে কোন অবস্থাতেই নীচে থাকা যাবে না। তিনি বলেন, অর্থ বছর শেষে আমাদের নাম্বার ওয়ান থাকতে হবে। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থবছর কে চারটি ভাগে ভাগ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রথম তিন মাস, প্রথম ছয় মাস, প্রথম ৯ মাস। তিনি বলেন, প্রথম তিন মাস পর যে প্রকল্পে যত খরচ করতে পারবে সে অনুযায়ী পরবর্তী তিন মাসের বরাদ্দ। তিনি বলেন,‘ আমি ভাল কাজের ভাল ফল দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ নিতে না পারলে কোন কাজেই আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না।
জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ ৪টি মূল পিলার ইতোমধ্যে জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় তুলে ধরেছেন। স্তম্ভসমূহ হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার,এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই চারটি পিলার শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আগামী ৫ বছরে এই মন্ত্রণালয় কী করবে তিনটি ধাপে ভবিষ্যত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আমরা তিনটি খাতকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সেটি হচ্ছে আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
প্রতিমন্ত্রী গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকগণকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্প পরিচালকগন প্রকল্প সমূহের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রদত্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসি, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর,সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, টেলিটক এবং টেশিস সহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা প্রধানগণ এবং বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় টেলিযোগাযোগ বিভাগের চলতি অর্থবছরে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় । সংস্থা প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকগণ নিজ নিজ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এছাড়া চলমান প্রকল্প সমূহের সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।