ইতিহাসের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার আওয়ামী লীগ -কাদের
আমরা (আওয়ামী লীগ) এদেশের ইতিহাসের অংশ। এই ইতিহাসের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এদেশে ৬৯ এর পর, ইস্যুভিত্তিক কোন গণ আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। এবং ৯০ এর আন্দোলনকে আমরা আন্দোলন বলি এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল। কিন্তু সেটা সরকার দুর্বল বলে সেই আন্দোলনের আঘাত সইতে পারেনি। কিন্তু সেটা একটা গণঅভ্যুত্থানে রুপে নিয়েছে এমনটা বলা ঠিক হবেনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাথে ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন,বিএনপি নেতারা কে কি বললেন সেটা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।
মির্জা ফখরুল জেল থেকে বেরিয়ে আবার দিবা স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েছেন। আন্দোলনের স্বপ্ন দেখছেন। একটা কথা মনে রাখবেন( ফখরুল ইসলাম) জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে আন্দোলনের বস্তুগত পরিস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায়না। জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে পাওয়া মোটেই যে সম্ভব না এটা বিএনপির হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া উচিৎ অভিজ্ঞতা থেকে।
তিনি আরও বলেন, জনমত যদি বিরোধী দলের পক্ষেও প্রবল হয় সেটাও কিন্তু নির্বাচনে তার প্রতিফলন ঘটবেই। এটাই আমাদের দেশের বাস্তবতা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেবকে বলবো, পরবর্তী আন্দোলনের কথা না ভেবে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি এখন থেকে নিতে শুরু করেন সেটাই হবে আপনাদের জন্য শুভ।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭০ সালে ইয়াহিয়া খানের এলফোর লিগ্যাল ফ্রেমে ওয়ার্ক এরমধ্যে ইলেকশন করতে অনেকেই বাঁধা দিয়েছিলেন। অনেকেই সম্মত ছিলেন না দলের নেতাদের মধ্যেও। কিন্তু এলফোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমি নির্বাচন করবো। নির্বাচন বর্জন করা সবচেয়ে বড় ভুল। মানুষ যদি নির্বাচনে সরকার পক্ষকে সমর্থন না করে বিরোধী পক্ষকেও সমর্থন করে সেটাকে ভিন্ন দিকে যদিও ডাইভার্টও করা হয় তারপরও সেটা কিন্তু গোপন করে রাখা যায়না। বিশেষ করে আজকে তথ্যপ্রবাহে এই যুগে।
কাদের আরও বলেন, আমরা আমাদের গণতন্তকে আরও শক্তিশালী করবো সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি আরও জোরদার করতে হবে। আমাদের অনেক প্রতিকূলতা আছে। সামনে আমাদের পথ পুষ্প বিছানো নয়। এটা আমি কখনো মনে করিনা। আমাদের পথ কণ্টাকার্কীণ। কারণ সারাবিশ্বেও অনেক সংকট। আমাদের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানটিও আমাদের বন্ধু নয়। এটাও আমাদের শত্রুতার জন্য অনেক উর্বর ক্ষেত্র। এই ক্ষেত্রটি কব্জা করার জন্য আমাদের বঙ্গোপসাগর, আমাদের সেন্টমার্টিন এইসবের প্রতি লোভাতুর দৃষ্টি বিশ্ব রাজনীতির অনেক বাজপাখিরই রয়েছে।
এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কাজেই শেখ হাসিনার মতো নেতা আমরা পেয়েছি, আমরা ভাগ্যবান। তিনি আছেন বলেই আজকে একটা ব্যালেন্সড কূটনীতি তিনি আজকে সাফল্যের দিকে নিয়ে গেছেন। এটা সত্যিই আমাদের গর্ব এবং আনন্দের বিষয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এড. কামরুল ইসলাম, ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এড আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক চাপা শামসুন্নাহার, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান সহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের আওয়ামী লীগসহ ভাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।