মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন

এদেশে বেপরোয়া রাজনীতির চালক বিএনপি- কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৮৬৫ Time View
Update : শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো রাজনীতির চালক হচ্ছে মির্জা ফখরুল। এরাও (বিএনপি) বেপরোয়া রাজনীতির চালক । এবং বেপরোয়া চালক যেমন এক্সিডেন্ট ঘটায় এদেরও রাজনীতিতে এক্সিডেন্ট ঘটানোর ইতিহাস আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,আসলে হতাশা নিরাশা থেকেই অনেক কথায় বিএনপির নেতারা বলছেন নিজেদের আত্মতুষ্টির জন্য ও নেতাদের চাঙ্গা করার জন্য। তারা এসব বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে । বেফাস কথাবার্তা আমরা বলিনা। বেফাস, বেপরোয়া তারাই। চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বারবার করতে চায় বিএনপি। এছাড়া রাজনীতিতে টিকে থাকার বিএনপি হাতে কোন রসদ নেই।

কাদের আরও বলেন, ফখরুল ইসলাম কারাগার থেকে বেরিয়েই শুরু করেছেন সেই একই সাজানো নাটকের পুনরাবৃত্তি। সেই একই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি, আমরা দেখতে পেলাম মির্জা ফখরুল বিবৃতি করলো। এখন তারা ঘুরে দাঁড়াবে..! কোথা থেকে কোথায় ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন ? আবার কোথা থেকে কোথায় ঘুরবেন সেটা আমাদের জানা নেই। বিএপির ঘুরে দাঁড়ানোর বক্তব্য আগেও শুনেছি। কোন বছর ঘুরে দাঁড়াবে ? এ বছর না আগামী বছর ? এই ডিসেম্বরে নাকি আগামী অক্টোবরে ? কবে আবার ঘুরে দাঁড়াবে ? বিএনপির মুখে আন্দোলনের চৌকস কথার ফুলঝুরি আমরা অনেক শুনেছি । সেটা আজকে বারেবারে বলতে গিয়ে বিএনপি নেতারা  জনগণের কাছে নিজেদেরকেই খাটো করছেন । আন্দোলন করার মতো, অথেনটিক কন্ডিশন বাংলাদেশে এখন নাই । তাদের হাতে এখন কোন ইস্যু নেই, তারা গায়ে পড়ে কিছু ইস্যু খুঁজে বেড়ায় । এইসব ইস্যুতে দেশের জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। মানুষ জেনেশুনেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছে । তারা মনে করেছিল ইলেকশন প্রতিহত করবে। তাদের সেই স্বপ্ন  দু:স্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বলেছিলো ইলেকশনের পর আমরা সরকার গঠন করতে পারবো না। তারা বলেছিলো সরকার গঠন করলেও কয়েকদিনের বেশি এই সরকার টিকবে না। তাদের এইসব বক্তব্যের বাস্তবতা কতটুকু..?

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাদের হাতে রক্তের দাগ, যারা এদেশে হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল, এবং মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলংকিত হত্যাকাণ্ড ৭৫ এর ১৫ আগস্ট।এই হত্যাকাণ্ড যারা সংগঠিত করেছিল যারা মাস্টার মাইন্ড ছিল খোন্দকার মোশাতাকের সঙ্গে জেনারেল জিয়াউর রহমান।

তিনি আরও বলেন, এখন অবাক লাগে এরা নিজেরা যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের  উপর আরোপিত অভিযোগ নতুন করে আরোপ করতে চায় আওয়ামী লীগের উপর। তারা ১৫ আগস্টের পর, ৩রা নভেম্বর কারাগারের অভ্যান্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। তারপর ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ  আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রকাশ্যে দিবালোকে তারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল, প্রাইম টার্গেট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য গ্রেনেড হামলা করে।
যেখানে ২৩টি তাজাপ্রাণ ঝরে গেছে। শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে হত্যা, আহসানুল্লাহ মাস্টার,মানিক শাহ৷ শামসুর রহমান, এইসব হত্যাকাণ্ড বিএনপি আমলে সংগঠিত করেছিল। এরপর মির্জা ফখরুল এক বিবৃতিতে বলছেন, হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছি উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাচ্ছে। ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। এইসব গুম খুনের সঙ্গে তারা জড়িত। রাজনৈতিক কারণে নিজেরা হত্যা করেছে।
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনও গুম হয়। কিভাবে গুম হল ? তাকে সীমান্তের ওপারে গুম খুনের মানুষ জীবিত পাওয়া গেলো, সে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো রাস্তায়। ফরহাদ মাজহারের গুমের কাহিনি এদেশের মানুষ জানে। গুম নাটক তারা ভালোই পারে। ২১ আগস্ট তারা জর্জ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল। এসব নাটক তারা বারেবারে সাজিয়েছে। এবং প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার জন্য, তারা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর যে অপকৌশল সেই অপকৌশল বিএনপি এখনো অবলম্বন করছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, পারভীন জামান, এ বি এম রিয়াজুল কাউসার, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুন এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর