পাকিস্তানে পিটিআইয়ের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে
পাকিস্তানে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে শনিবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তাদের এই বিক্ষোভে অংশ নেবে জামায়াত-ই-ইসলামি (জেআই)। শুক্রবার পিটিআই-এর এক প্রতিনিধি দল জেআই নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পর এই ঘোষণা এসেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান।
তাছাড়া বড় ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এখনো বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলটির দাবি তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা ১৫০টির বেশি আসনে জয় পেলেও তা কারচুপি করে ৯২টি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জোট গঠন করে কারা দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
কারণ নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের দাবি তারা পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করবে। অন্যদিকে পিটিআই এর দাবি তারা সরকার গঠন করবে।
এমন পরিস্থিতিতে পিএমএল-এন নেতা খাজা সাদ রফিক বলেছেন, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কেন্দ্রে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনো দলই পায়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক বার্তায় তিনি বলেন, সংসদে নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এখন সব দলেরই দায়বদ্ধতা রয়েছে।
তিনি বলেন, তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীদের উচিত পিপির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনে উদ্যোগ নেওয়া।
পিএমএল-এনের এই কাঁটার মুকুট মাথায় সাজানোর কোনো ইচ্ছা নেই বলেও মন্তব্য করেন রফিক।
আনুষ্ঠানিক ফলাফলে তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রর্থীরা ৯২ আসনে জয় পায়। নওয়াজ শরিফের দল ৭৫ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয় পায়। তবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই চলছে জোট নিয়ে আলোচনা।
তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) দাবি ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্তত ৮৫ আসনের ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। এসব আসনে তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা জয় পেয়েছিল।